তল্লাশি অভিযান চলছে। নিজস্ব চিত্র।
জলপথে এবং আকাশপথে তল্লাশি চালালেও শনিবার বিকাল ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ সাত মৎস্যজীবীদের সন্ধান পাওয়া গেল না। উৎকণ্ঠা আর আশঙ্কায় সময় কাটছে তাঁদের পরিজনের।
শুক্রবার সকালে নন্দীগ্রামের কেন্দামারি থেকে পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরের দিকে যাওয়ার সময় মাঝ সমুদ্রে চড়াতে ধাক্কা লেগে একটি ট্রলার উল্টে যায়। দু’জনের মৃত্যু হয় ঘটানায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের তিন জন মৎস্যজীবী নিজেদের নিরাপদ এলাকায় পৌঁছাতে পারলেও সাত জন মৎসজীবীর সন্ধান মেলেনি। শুক্রবার দুপুর থেকেই পুলিশের পাশাপাশি, উপকূল রক্ষী বাহিনী তল্লাশি শুরু করেছে। শনিবারও স্পিডবোটে চলছে অনুসন্ধান। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা জলে নেমে মৎস্যজীবীদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে আকাশপথেও উপকূল রক্ষী বাহিনীর হেলিকপ্টারে মৎস্যজীবীদের সন্ধান চলছে। তবে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটিরও হদিস মেলেনি।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, খেজুরির হিজলি এবং পেটুয়াঘাটের মধ্যবর্তী যে এলাকায় ট্রলারটি ডুবেছিল, উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় শনিবার সেখান থেকে সেটি ভেসে হয়তো আরও গভীর সমুদ্রের দিকে চলে গিয়েছে। তাই ট্রলারটির প্রকৃত অবস্থান জানা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও মৎস্য দফতরের একটি সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ খেজুরির কলাগেছিয়ার দিকে রসুলপুর নদীতে একটি ট্রলারের ভাঙা অংশ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে ওই এলাকায় নদী উত্তাল রয়েছে। তাই সেখানে যেতে পারছে না উদ্ধারকারী দল। তাছাড়া, ওই ভগ্নাংশটির দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারেরই কি না, সে ব্যাপারেও ধোঁয়াশা রয়েছে। আজ, রবিবার উপকূলরক্ষী বাহিনী চেন্নাই থেকে তিনজন ডুবুরি নিয়ে এসে ফের অনুসন্ধান তল্লাশি চলাবে।
এদিকে, মৎস্যজীবীদের পরিজন পেটুয়াঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের একজন হলেন শুকদেব করণ। তাঁর খোঁজে সকাল থেকে ফেরিঘাটে বসে ছিলাম দিদি ভবানী দাস। অন্য পরিজনদের সঙ্গে কথাবার্তা হয় কাঁথির মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানি এবং কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহার। তাঁরা নিখোঁজদের পরিবারকে পাশে থাকার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। শুকদেবের দিদি ভবানী যদিও বলছেন, ‘‘সব কিছুই ঈশ্বরের হাতে। যেখানেই থাকুক, ওঁরা যেন সুস্থ থাকে।’’