ফাইল চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দোলাচল-পর্বের মধ্যেই কাল, সোমবার মেদিনীপুরে জনসভা রয়েছে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই জনসভা আলাদা মাত্রা পাচ্ছে দলের অন্দরে, বাইরেও। এখন জোর কদমে জনসভা সফল করার প্রস্তুতি চলছে তৃণমূল শিবিরে। আয়োজনের জাঁক থেকে লোক জমায়েত—কিছুতেই খামতি রাখতে চাইছেন না নেতৃত্ব। ঘনঘন সভাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিরা।
প্রস্তুতি দেখার ফাঁকে অজিতের দাবি, ‘‘দলনেত্রীর সভায় জেলার দেড়-দু’লক্ষ মানুষ উপস্থিত হবেন। জেলার মানুষই ওই দিন প্রমাণ করে দেবেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গেই রয়েছেন।’’ শনিবার সভাস্থল কলেজ-কলেজিয়েট মাঠে গিয়ে দেখা যায়, প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। মাঠে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। চলছে মঞ্চ এবং সামনের ছাউনি তৈরির শেষবেলার কাজ। সভাস্থলে সব মিলিয়ে তিনটি মঞ্চ থাকছে। মূল মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিরাপত্তায় এতটুকুও খামতি থাকছে না। পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি নজর- ক্যামেরার নজরদারিও থাকছে। সভাস্থল মুড়ে ফেলা হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়। মঞ্চে সিসি ক্যামেরা থাকছে। ছাউনিতেও সিসি ক্যামেরা থাকছে। জানা যাচ্ছে, সবমিলিয়ে ৩০ টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা থাকছে সভাস্থলে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকেরা ইতিমধ্যে মেদিনীপুরে পৌঁছে সভাস্থল পরিদর্শনও করেছেন। মঞ্চের পিছনের দিকে হেলিপ্যাড হচ্ছে। পুলিশ লাইনেও হেলিপ্যাড থাকছে। হেলিকপ্টারেই মেদিনীপুরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সভাস্থলের হেলিপ্যাডেই কপ্টার নামার কথা। তবে প্রয়োজনে তা পুলিশ লাইনের হেলিপ্যাডেও নামতে পারে। সোমবার রাতে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতোই বন্দোবস্ত সারা হচ্ছে। সভাস্থলের আশেপাশে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে সভা দেখানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। মাঠ বাদেও আশেপাশের রাস্তায় মাইক লাগানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, ইউটিউব অ্যাকাউন্ট তো রয়েছেই, আরও বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে একই সঙ্গে এই সভা সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। সভাস্থলে ওয়াইফাই- এর ব্যবস্থা থাকছে। জেলা তৃণমূলের এক নেতা মানছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের বিভিন্ন সভার স্ট্রিমিং যেমন হয়, এ ক্ষেত্রেও হবে।’’
তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায়ের দাবি, ‘‘প্রস্তুতি প্রায় সারা। সোমবার মিছিলে মিছিলে ছয়লাপ হবে মেদিনীপুর।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতের বক্তব্য, ‘‘আমরা নিশ্চিত, যে সংখ্যক মানুষ আসবেন, তার ৩০- ৪০ ভাগ মানুষ এই মাঠে ঢুকতে পারবেন। সব দিক দেখেই সভাস্থলের থেকে অনেক দূর পর্যন্ত মাইক লাগানো হচ্ছে।’’
আপাতত, মমতার অপেক্ষায় মেদিনীপুর।