Kali Puja

রাত বাড়তেই বিধিভঙ্গ

বড় রাস্তাগুলির আশপাশে অবশ্য বাজির দাপট অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার অনেক কম ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০১:০৭
Share:

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই আতসবাজির দাপট। শনিবার সন্ধ্যায়। মেদিনীপুর শহরের বিধাননগর এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

সকাল থেকেই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল। উত্তর মিলল সন্ধ্যে নামতেই। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই পুড়ল বাজি। তবে অন্য বারের তুলনায় অনেকটাই কম। রাত যত গড়িয়েছে তত শব্দের আওয়াজ বেড়েছে শহরে ও গ্রামে। আতসবাজির সঙ্গে ফেটেছে শব্দবাজিও। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার ছবিটা মোটের উপর এটাই।

Advertisement

বড় রাস্তাগুলির আশপাশে অবশ্য বাজির দাপট অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার অনেক কম ছিল। অন্যান্য বছর কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির আওয়াজে কান ঝালাপালা হয়ে যেত মেদিনীপুর শহরে। এবার আদালতের রায়ের পরে সেই পরিচিত ছবিটা অনেকটাই উধাও। তবে বিক্ষিপ্তভাবে শব্দবাজি ফাটার শব্দ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দিনভর নজরদারি ছিল, হয়েছে অভিযানও। ইতিউতি বাজি মজুত করে রাখলেও পুলিশের অভিযানে তা খোলাবাজারে আসেনি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ বার বাজি রুখতে টানা সচেতনামূলক প্রচার চালানো হয়েছে। নজরদারি চলছে, রবিবারও চলবে।’’ অনেকেই মনে করছেন, বাজি বিক্রি ঠেকানো গিয়েছে বলেই এমন দূষণহীন কালীপুজোর সন্ধ্যা দেখতে পেয়েছে মেদিনীপুর।

ঘাটাল মহকুমায় শব্দের দাপট তেমন দেখা যায়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু পটকা ফেটেছে। তবে আতসবাজিতে অবশ্য বিরাম ছিল না। বাজি বিক্রি বন্ধ করতে ঘাটাল মহকুমা জুড়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ছিল নজরদারিও। বেলদা, দাঁতন, মোহনপুর, কেশিয়াড়ির বিভিন্ন এলাকায় অবশ্য পুলিশকে সেভাবে রাস্তায় দেখা যায়নি। সেই সুযোগে বাজিও ফেটেছে। অন্য বছরের থেকে কম হলেও বাজি ফাটার শব্দ শোনা গিয়েছে গড়বেতার তিনটি ব্লক থেকেই। সেখানে অবশ্য পুলিশের টহলদারি ভ্যান রাস্তায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। তুলনায় কম হলেও রেলশহর খড়্গপুরেও ফেটেছে বাজি। খরিদা, মালঞ্চ, সুভাষপল্লি, ভবানীপুর, ইন্দা এলাকায় আতসবাজির পাশাপাশি শব্দবাজিও ফেটেছে। তবে মিশ্র সংস্কৃতির এই শহরে এবার শব্দবাজির তাণ্ডব দেখা যায়নি বলেই মত অনেকের। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, ‘‘শহরে বাজি নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অনেক শান্ত রয়েছে পরিবেশ।’’

Advertisement

অরণ্যশহর ঝাড়গ্রামে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেভাবে বাজি না ফাটলেও সন্ধ্যার পর থেকে বাজি-পটকার দৌরাত্ম্য শুরু হয়। ছিল পুলিশের নজরদারি। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক আধিকারিক দাবি করেছেন, ‘‘বাজির প্রকোপ এবার অনেক কম। পুলিশের নজরদারি রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement