—প্রতীকী চিত্র।
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শুক্রবার। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম শেখ হোসেন আলি। ২৫ বছরের হোসেনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে একটি অপহরণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল হোসেনকে। অসুস্থতার কারণে তমলুক সংশোধনাগার থেকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে স্থানান্তর করা হয় বিচারাধীন ওই বন্দিকে। তাঁর দেহ মেলে শুক্রবার।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে একটি গাছে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই বন্দির দেহ দেখতে পান কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। জেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের বাড়িতেও খবর পাঠানো হয়েছে। কারামন্ত্রী এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এক বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তমলুক জেল থেকে অসুস্থতার জন্য তাঁকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’’
মৃতের কাকা নাসির মল্লিক বলেন, ‘‘হোসেন টিউশন পড়াত। এক ছাত্রীর সঙ্গে ওর প্রেম হয়ে যায়। পালিয়ে গিয়েছিল ওরা। মেয়ের পরিবার থেকে অপহরণের অভিযোগ করা হয়। সেই ঘটনায় কয়েক দিন আগে ওকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তমলুক থেকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয় ওকে। কিন্তু সেটা আমরা বাড়ির লোকজন জানতাম না। তার পর আজ সকালে দেহ উদ্ধার! কোন মতেই এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’’ তিনি জানান, মৃতের বাবা ভিন্দেশে কাজ করেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা থানায় অভিযোগ জানাচ্ছেন। কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করারও প্রস্তুতি শুরু করেছেন তাঁরা।