Ramnagar

বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী

পুলিশের দাবি, বুধবার রাতে মৃত বিজেপি নেতার ছেলে, তাঁর বাবাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামনগর শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০৩:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দল প্রথম থেকেই খুনের অভিযোগ করে এসেছে। পুলিশ অবশ্য আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করল দুই তৃণমূল কর্মীকে। ধৃতদের মধ্যে এক জন মহিলাও রয়েছেন।

Advertisement

বুধবার বিকেলে পূর্ণচন্দ্র দাস নামে বিজেপির ওই বুথ সভাপতির দেহ বাড়ির কাছে পান বরজে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেতার বাড়ি থেকে বেরনোর একটি রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরনো বিবাদ রয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকেদের ওই রাস্তা ব্যবহার করতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা তাঁর দাদাকে ডেকে চাপ দিতে চাইছিল বলে বোনের অভিযোগ। কিন্তু পূর্ণ যেতে রাজি হননি। এর পরেই বিকেলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর দাদাকে তৃণমূলের লোকেরা খুন করেছে বলে বোনের অভিযোগ।

যদিও পুলিশের দাবি, বুধবার রাতে মৃত বিজেপি নেতার ছেলে, তাঁর বাবাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। তার ভিত্তিতে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা এলাকায় তৃণমূলের কর্মী হিসেবে পরিচিত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অরবিন্দ কুমার আনন্দ বলেন, ‘‘বিজেপি নেতার ছেলে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত তথ্য স্পষ্ট হবে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে এক বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেখানেও তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে গোড়া থেকেই অভিযোগ করেছিল বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং পুলিশি তদন্তে ওই বিজেপি বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ফের দলের এক নেতার এহেন মৃত্যু নিয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যেহেতু বিজেপির সাংগঠনিক পদাধিকারী তাই পূর্ণচন্দ্রকে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা আসলে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে খুন।’’ বিজেপি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহও বলেন, ‘‘সালিশি সভায় ডেকে ওই নেতাকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। পুলিশ যাদের অভিযুক্ত মনে করেছে তাদের গ্রেফতার করেছে।’’ বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। মহিলাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত ও আর এক জনকে ৬ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement