Greenary Mission

জঙ্গলমহলের জেলায় সবুজায়ন রামকৃষ্ণ মিশনের

ইতিমধ্যেই গত আর্থিক বছরে ১২ হাজার বিভিন্ন গাছের চারারোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার চারা নয়াগ্রাম ব্লকে সুবর্ণরেখা নদীর তীর বরাবর রোপণ করা হয়েছে, সবুজায়নের পাশাপাশি নদী ভাঙন রোধও উদ্দেশে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০১
Share:

সবুজায়ন কর্মসূচিতে পড়ুয়াদের সঙ্গে পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

অরণ্যসুন্দরী হারাচ্ছে সবুজ। কখনও উন্নয়ন তো, কখনও নগরায়নের কারণে কোপ পড়ছে সবুজে। এমন আবহে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে সবুজায়নে উদ্যোগী রামকৃষ্ণ মিশন!

Advertisement

ইতিমধ্যেই গত আর্থিক বছরে ১২ হাজার বিভিন্ন গাছের চারারোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার চারা নয়াগ্রাম ব্লকে সুবর্ণরেখা নদীর তীর বরাবর রোপণ করা হয়েছে, সবুজায়নের পাশাপাশি নদী ভাঙন রোধও উদ্দেশে। নয়াগ্রামে গাছের চারাগুলিতে সযত্নে বড় করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে মিশনের ঝাড়গ্রাম শাখা। এ জন্য মিশনের তরফে একজন সুপারভাইজ়ার নিযুক্ত করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী বেদপুরুষানন্দ জানাচ্ছেন, রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত বছর থেকে ‘স্বামী বিবেকানন্দ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’ শুরু হয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থার অর্থিক সহযোগিতায় মিশনের উদ্যোগে গত বছর নয়াগ্রাম ব্লকের সুবর্ণরেখা তীরবর্তী ১৮ একর সরকারি জায়গায় প্রায় ১০ হাজার নানা ধরনের গাছের চারারোপণ করা হয়। বেদপুরুষানন্দ জানান, সবুজায়নের জন্য জেলা প্রশাসন ওই সরকারি জমি বরাদ্দ করেছে।

চলতি বছরেও সবুজায়ন কর্মসূচির আওতায় মিশন পরিচালিত একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ-সহ জেলার স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক মিলিয়ে আরও ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১,৭২৫টি গাছের চারারোপণ
করা হয়েছে।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী বেদপুরুষানন্দ বলছেন, ‘‘গত বছর ও চলতি বছর মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩,৭২৫টি গাছের চারারোপণ করা হয়েছে।’’ মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক সহায়তা পেলে আগামী দিনেও সবুজায়ন কর্মসূচি চলবে। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলছেন, ‘‘রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমকে সরকারি জমি দেওয়া হয়। সেখানে মিশন কর্তৃপক্ষ অসংখ্য গাছের চারারোপণ করেছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement