প্রতীকী ছবি।
‘দাদা’র দলবদলে বিজেপি’র অন্দরে কোন্দলে! তা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, চা-চক্রে যোগ দিতে এসে দলীয় কর্মীদের সমালোচনা এবং হাজারো প্রশ্নের মুখে পড়লেন বিজেপি’র কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী। বিক্ষুদ্ধ কর্মীদের আশঙ্কা, শুভেন্দু এবং তাঁর তৃণমূলের অনুগামীদের দলবদলের ফলে পুরনো বিজেপি কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়বেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কাঁথির দিঘা বাইপাস এলাকায় চা-চক্রের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত হন জেলা (কাঁথি) সভাপতি অনুপ। সেখানে দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের একাংশ জানান, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বা দিতে চাইছেন। যাঁরা ইতিমধ্যেই দলবদল করেছেন, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে আমজনতার ক্ষোভ রয়েছে। ফলে দলের প্রচারে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওই দলবদলু তৃণমূল নেতাদের বিষয়ে হাজারো প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকে এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমুখী কর্মসূচি নিয়ে প্রচার করেছি। এর ফলে ধীরে ধীরে দলের সমর্থন বেড়েছে। কিন্তু সে সময় দলের প্রচার করতে গিয়ে যাঁদের হাতে হেনস্তা হতে হয়েছে, এখন তাঁদেরকেই দলে স্বাগত জানানো হচ্ছে।’’ আবার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মীদের দাবি, ইতিমধ্যে তাঁরা ‘মেরা বুথ সবচেয়ে মজবুত’ কর্মসূচি শুরু করেছেন। সেখানে তৃণমূলের পুরনো ‘মুখ’ যাঁরা, তাঁদের কেন বিজেপি’তে নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
জেলা নেতৃ্ত্ব অবশ্য কাঁথি শহরের স্থানীয় বিজেপি নেতাদের ক্ষোভের কথা মানতে রাজি নন। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ বলছেন, ‘‘বিভিন্ন দল থেকে যারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন তাঁদেরকে নিয়ে দল কি স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছে, সে সম্পর্কেই জানার চেষ্টা করেছিল কর্মীরা। কোনও ক্ষোভ নেই। বিক্ষোভও হয়নি।’’