এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
চিনাদাঁড়ি সভা থেকে আড়গোয়ালে দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতা অপরেশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের আড়গোয়াল ও মথুরায় দুই বিজেপি বুথ সভাপতির উপর রাতে হামলার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এ দিন এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গিয়ে আহত দলীয় নেতাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন পরিবারের সঙ্গে। তবে তৃণমূলের দাবি, এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জের।
ভগবানপুর বিধানসভার অন্তর্গত পটাশপুরের আড়গোয়াল ও মথুরা-কে অতিস্পর্শকারত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সারা বছর ধরে এই এলাকাগুলিতে বোমা গুলির রাজনীতি ও ক্ষমতা দখলের অভিযোগ উঠে। লোকসভা ভোট আসতেই ফের শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে দখলদারি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে বিজেপি। রবিবার ভগবানপুরে চিনাদাঁড়ি সভা থেকে আড়গোয়ালে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অপরেশ সাঁতরাকে সাবধান হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। বোমা, বন্দুক ও টাকা লুকিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছিল এনআইএ-র এফআইআরে নাম থাকা তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধে। শুভেন্দুর সেই হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিয়েছেন অপরেশ।
সেই আড়গোয়াল ও মথুরার দুই বিজেপি সভাপতির উপর সোমবার রাতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে মথুরার মংরাজপুর বাজারে আড়গোয়াল ১৫৪ নম্বর বুথ বিজেপি সভাপতি স্বপন দাস ও মথুরা ১৪৮ নম্বর বুথে বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় প্রধান চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় মথুরা এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে এক বিজেপি নেতার।
আহত দুই বিজেপি নেতাকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে আক্রান্ত দুই বিজেপি নেতার অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। কাঁথি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে আহত দুই নেতার সঙ্গে দেখা করেন।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক স্বপন দাস বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা সভা থেকে তৃণমূলের নেতা অপরেশ সাঁতরাকে হুঁশিয়ারি দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে অপরেশের লোকজন আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে দলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’ আবার তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা বলেন, ‘‘বিজেপি হার নিশ্চিত বুঝে নাটক শুরু করেছে। এই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নন। ওদের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।’’