রেশন দোকানে ঝুলবে এমনই বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র
করোনা মোকাবিলায় গত ২৪ মার্চ থেকে লকডাউনের জেরে অধিকাংশ মানুষের রোজগার বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের খাবারের জোগান দিতে রেশনের মাধ্যমে চাল ও আটা প্রভৃতি খাদ্যসামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য বরাদ্দ করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার ঘোষণা করে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ রেশনকার্ড গ্রাহকদের এপ্রিল থেকে আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৬ মাস বিনামূল্যে ২ কিলোগ্রাম চাল ও ৩ কিলোগ্রাম আটা দেওয়া হবে। এ ছাড়া কেন্দ্র সরকারের তরফে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনায় রেশনকার্ড গ্রাহকদের মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫ কিলোগ্রাম চাল এবং পরিবার পিছু ১ কিলোগ্রাম করে ডাল বিনামূল্যে দেওয়া হবে তিনমাস ধরে।
পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার মে মাস থেকে রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-২ রেশনকার্ড গ্রাহকদেরও বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কেন্দ্র সরকারের বরাদ্দ অতিরিক্ত চাল মে মাস থেকেই বণ্টন শুরু হয়েছিল। তবে ডাল বণ্টন শুরু হয়নি। আগামী ১৬ জুন থেকে এই ডাল বণ্টন শুরু হবে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনায় থাকা রেশন গ্রাহকদের পরিবার পিছু ১ কিলোগ্রাম করে মুসুর ডাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা খাদ্য দফতর। জেলার প্রায় ৮০০ রেশন দোকানের মাধ্যমে ডাল বণ্টনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার (এএওয়াই) রেশন গ্রাহকদের পরিবার পিছু ৩ মাসের (এপ্রিল, মে ও জুন) জন্য বরাদ্দ ৩ কিলোগ্রাম করে চিনি দেওয়া হবে। ১৩ টাকা ৫০ পয়সা কিলো দরে তা কিনতে হবে।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, জুন মাসে মুসুর ডাল এবং জুলাই ও অগস্ট মাসে মুগ ডাল দেওয়া তবে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ভুক্ত রেশন গ্রাহকেরাই এই ডাল পাবেন। তাই রেশন দোকানগুলিতে এই ডাল বণ্টন নিয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্তি এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনার (এএওয়াই, পিএইচএইচ ও এসপিএইচএইচ) রেশন গ্রাহকদের পরিবার পিছু ১ কিলো ডাল বরাদ্দ হয়েছে। চলতি মাসের বরাদ্দ ডাল ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেওয়া হবে। গ্রাহকদের এবিষয়ে বিস্তারিত জানাতে প্রতিটি রেশন দোকানে ব্যানার বা ফ্লেক্স দেওয়ার ব্যবস্থা করতে খাদ্য দফতরের নির্ধারিত তথ্য সহ ‘মডেল’ ব্যানার দেওয়া হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘১৬ জুন থেকেই ডাল ও চিনি বণ্টনের জন্য রেশন দোকানগুলিকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ ওয়েস্টবেঙ্গল এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক মাধব পাঁজা বলেন, ‘‘ডাল বণ্টন নিয়ে বাসিন্দাদের বিস্তারিত জানাতে রাজ্য খাদ্য দফতরের নির্ধারিত বয়ান-সহ ফ্লেক্স বা ব্যানার দোকানের সামনে রাখার জন্য প্রতিটি রেশন ডিলারকে জানানো হয়েছে।’’