শিবিরেই কর জমা। শনিবার তমলুকে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের জেরে গত প্রায় আড়াই মাস ধরে বন্ধ ছিল পুরসভার অফিস। পাশাপাশি বন্ধ ছিল পুর এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে কর আদায় প্রক্রিয়াও। অন্য দিকে, এলাকার বাসিন্দাদের থেকে নেওয়া গৃহকরই হল পুরসভার আয়ের অন্যতম উৎস। কিন্তু লকডাউনে সময় বাসিন্দাদের থেকে কর আদায় না হওয়ায় আর্থিক সঙ্কটে তমলুক পুরসভা।
আপাতত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও, গত ৮ জুন থেকে সরকারি অফিসগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে। ফলে পুরসভার বিভিন্ন কাজ চালুর ক্ষেত্রে অর্থের সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল বাসিন্দাদের কাছ থেকে কর আদায়ের জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর আদায় শিবিরের ব্যবস্থা করেছে তমলুক পুরসভা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থানীয় স্কুল বা পুরসভার কমিউনিটি হলে শিবির করে বাসিন্দাদের কাছ থেকে ‘হোল্ডিং ট্যাক্স’ জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন দিন, কোন ওয়ার্ডে কর আদায় শিবির করা হবে— তা মাইকে প্রচারও করা হচ্ছে। দিন তিনেক আগে কর আদায় শিবির শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, শনিবারও পুরসভার ১৪, ১৭, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কর আদায় শিবির হয়েছে।
পুরসভা এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, তমলুক পুরসভায় এলাকায় মোট ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, দোকানঘর ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস ভবনের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে পুরসভা। যা থেকে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় হয় পুরসভার। কিন্তু গত ২৪ মার্চ থেকে লকডাউনের জেরে অফিস বন্ধ থাকার জেরে এই হোল্ডিং ট্যাক্স জমা বন্ধ থাকার ফলে আয়ে টান পড়ে পুরসভার। তবে সরকারি ভাবে ১ জুন থেকে সরকারি অফিস খুললেও ভিড় এড়াতে অনেক বাসিন্দাই কর জমা দেওয়ায় ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি। এরপরই পুরসভা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের জন্য ওয়ার্ডে ভিত্তিক শিবির করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত শিবির করা হচ্ছে। তমলুক পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘লকডাউনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় না হওয়ায় আর্থিক সমস্যায় পড়ছে পুরসভা। বাসিন্দারা যাতে সহজেই বাড়ির কর জমা দিতে পারেন, সেজন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে শিবির করে তা জমা নেওয়া হচ্ছে।’’