সুমন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।
আগে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানে দেশের সর্বোচ্চ ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনগর সম্মান’, ‘ইনফোসিস পুরস্কার-২০২২’ও। প্রযুক্তিবিদ্যার বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই শিক্ষক অধ্যাপনা ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবার গবেষণায় নজর কেড়েছেন। করোনাকালে তাঁর আবিষ্কার কম খরচে নির্ভুল করোনা পরীক্ষার ক্ষুদ্র যন্ত্র। উচ্চশিক্ষায় প্রথমবার জাতীয় শিক্ষকের পুরস্কারের তালিকায় রয়েছেন খড়্গপুর আইআইটির সেই অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী।
আজ, মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসে রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুর হাত থেকে সুমন ‘জাতীয় শিক্ষকে’র সম্মান নেবেন। ইতিমধ্যে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন। উচ্চশিক্ষায় এই প্রথম ‘জাতীয় শিক্ষক’ সম্মান দেওয়া হচ্ছে। দেশের ১৩জনের তালিকায় সুমন ছাড়াও রাজ্য থেকে রয়েছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর)-এর অধ্যাপক সায়ম সেনগুপ্ত। তবে কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি আইআইটির জনসংযোগ আধিকারিক। রেজিস্ট্রার অমিত জৈনও ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের। তবে সুমন বলেন, “ রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান নেব, এটাই বড় প্রাপ্তি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা হয়েছে। উনি বললেন শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়ানো নয়, জীবন গড়ার দায়িত্ব নিতে হবে। সেই চেষ্টাই গত কয়েকবছর ধরে করে চলেছি। আগামীতেও এই সম্মানের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সুমন ২০০২সালে খড়্গপুর আইআইটিতে অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই অধ্যাপকের গবেষণার মূল বিষয় ‘ফ্লুইড মেকানিকস অ্যান্ড থার্মাল সায়েন্স’। ডায়াগনস্টিক, সেন্সিং ও থেরাপিউটিকসের জগতে স্বল্পমূল্যের চিকিৎসা পরিষেবায় বহু যন্ত্রের আবিষ্কার করেছেন। করোনাকালে ভাইরোলজিস্ট অরিন্দম মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে আবিষ্কার করেন স্বল্পমূল্যের করোনা পরীক্ষার যন্ত্র ‘কোভির্যাপ’। রক্তাল্পতা নির্ণয়ে ‘হিমো অ্যাপ’ও তাঁর আবিষ্কার। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে দেশের ৭৫জন সেরা বিজ্ঞানীর সুমনও সম্মানিত হয়েছিলেন।