প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে দলের ব্লক ও শহর সভাপতিদের সাংবাদিক বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো শনিবার জেলার বিভিন্ন ব্লকের সভাপতিরা করলেন বৈঠক। সেখানে কর্মসূচি নিয়ে যতটা না জানালেন, তার থেকে দলে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থা পরিষ্কার করলেন ওই তৃণমূল নেতারা।
দলীয় সূত্রের খবর, তাঁরা যে দলেই রয়েছেন, সে বিষয়ে ব্লক এবং শহর সভাপতিদের সাংবাদিক বৈঠক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য জেলার সব ব্লক ও শহর সভাপতিদের সঙ্গে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দলের সদস্যরা সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এ দিন। সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তমলুক শহর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র। যিনি শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। গত ৩ ডিসেম্বর ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস উপলক্ষে ‘তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি’র ব্যানারে তমলুক শহরে শুভেন্দুর নেতৃত্বে পদযাত্রার অন্যতম আয়োজক ছিলেন তিনি। এ দিন বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়েছেন বলে এমন খবর এই সময় পর্যন্ত নেই। তিনি আমাদের দলের নেতা। শুভেন্দুর দল পরিবর্তনের কথা উনি বলবেন। তবে আমি তৃণমূল করি। তৃণমূল করব।’’
মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে নন্দকুমারের নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা বলেছিলেন। এ দিন নন্দীগ্রাম-১, ভগবানপুর-২ এর ব্লক সভাপতি বদল হলেও নন্দকুমারের সভাপতি বদল নিয়ে কিছু জানাননি জেলা নেতৃত্ব। এর মধ্যেই এ দিন নন্দকুমারের ব্লক তৃণমূল সভাপতি হিসাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকুমার বেরা। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে দলের যে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি তা পালন করছি । আমি তৃণমূলে ছিলাম। এখনও পর্যন্ত তৃণমূলে রয়েছি।’’ তাঁকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে সুকুমার বলেন, ‘‘আমাকে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে দলীয়ভাবে কিছু জানানো হয়নি।’’
এগরা-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বরাজ খাঁড়ার কাছে তাঁর অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দিদিকে দেখে দলটা করেছি। এখনও করছি। আগামী দিনেও করব।’’