Prachesta Scheme

‘প্রচেষ্টা’র ফর্ম অনলাইনে, পারবেন ক’জন! 

কিন্তু লকডাউনে সাইবার কাফে যেখানে বন্ধ, বন্ধ তথ্যমিত্র কেন্দ্র, সেখানে গাঁ-গঞ্জের মানুষজন এই পদ্ধতির সুবিধা কতটা নিতে পারবেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০১:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

লকডাউনে কাজহারাদের এককালীন অর্থ সাহায্য দিতে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছে রাজ্য। কিন্তু আবেদনপত্র জমার ভিড়ে সামাজিক দূরত্বের মতো করোনা-বিধি শিকেয় উঠেছিল। পরিস্থিতি দেখে প্রক্রিয়া স্থগিত করেছিল সরকার। অবশেষে ঠিক হয়েছে, অনলাইনেই জমা নেওয়া হবে ‘প্রচেষ্টা’র আবেদনপত্র।

Advertisement

কিন্তু লকডাউনে সাইবার কাফে যেখানে বন্ধ, বন্ধ তথ্যমিত্র কেন্দ্র, সেখানে গাঁ-গঞ্জের মানুষজন এই পদ্ধতির সুবিধা কতটা নিতে পারবেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে আবেদনপত্র ‘অনলাইন’ পদ্ধতিতে জমা নেওয়া হবে বলে শনিবার রাজ্য শ্রম দফতরের কমিশনার সব জেলাশাসককে জানিয়েছেন। আবেদনপত্র পূরণ ও জমা দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। আবেদনপত্র জমার পরে কী ভাবে ‘স্ক্রুটিনি’ করা হবে তা-ও জানানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, আজ সোমবার থেকে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট থেকে ‘প্রচেষ্টা’র আবেদনপত্র ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। আবেদনকারীদের নাম, ঠিকানা, বয়স, মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ যাবতীয় নথিপত্র সমেত ‘অনলাইনে’ই জমা দিতে হবে আবেদনপত্র। ‘অফলাইনে’ কোনও আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে না। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শ্রম দফতরের উপ-কমিশনার মিহির সরকার রবিবার বলেন, ‘‘প্রচেষ্টা প্রকল্পে সোমবার থেকে অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদনপত্র ডাউনলোড করা ও পূরণ করে জমা দেওয়া যাবে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত এই আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।’’

Advertisement

এর আগে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের সাহায্য পেতে প্রাথমিকভাবে জেলাশাসক, মহকুমাশাসকদের অফিসে পূরণ করা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু গত ২৭ এপ্রিল থেকে আবেদনপত্র জমা দিতে রাজ্য জুড়েই প্রচুর ভিড় জমতে শুরু করে। শিকেয় ওঠে সামাজিক দূরত্বের মতো করোনা-বিধি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ ভাবে হাতে হাতে আবেদনপত্র জমা নেওয়া অনির্দিষ্টকালে জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেলাশাসকের অফিসে দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষার পরে বহু মানুষকে ফিরে যেতে হয়।

এ বার বিকল্প পন্থা হিসেবে ‘অনলাইন’ পদ্ধতি চালু করতে চলেছে সরকার। কিন্তু সেই পদ্ধতির সুযোগ কাজহারা প্রান্তিক মানুষজন কতটা নিতে পারবেন, প্রশ্ন সেখানেই। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই স্মার্টফোনে অভ্যস্ত নন। অনেকেই অনলাইনে আবেদনপত্র তোলা ও জমার জন্য স্থানীয় তথ্যমিত্র কেন্দ্র বা সাইবার কাফেগুলির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখন লকডাউন চলছে। তার উপর পূর্ব মেদিনীপুর ‘রেড জ়োনে’ থাকায় জেলার ‘তথ্যমিত্র কেন্দ্র’ ও সাইবার কাফেগুলি বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে সংশয়। তবে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু রায় বলেন, ‘‘রুজি হারানো লোকজনকে আর্থিক সাহায্য করার যে প্রকল্প রাজ্য সরকার নিয়েছে, তাতে আবেদন করতে গিয়ে লোকজন যাতে সমস্যায় না পড়েন তা দেখা হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দলের পঞ্চায়েত এবং পুরসভার প্রতিনিধি-সহ দলের কর্মীরাও সব রকম সাহায্য করবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement