রমার নামেও কাটমানি পোস্টার

মাস খানেক আগেও রমাপ্রসাদ যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন। লোকসভা ভোটের পরে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি বিজেপি-শিবিরে ভিড়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০১:২৮
Share:

এই পোস্টারেই শোরগোল। নিজস্ব চিত্র

এ যেন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে!

Advertisement

কাটমানি ফেরত চেয়ে এ বার জেলা পরিষদের কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরির নামে পোস্টার পড়ল মেদিনীপুর শহরে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদ রোডে দেওয়ালে সাঁটানো বেশ কয়েকটি পোস্টার নজরে পড়ে। তাতে বার্তা, ‘চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করলে কেন, রমাপ্রসাদ গিরি জবাব চাই জবাব দাও।’

মাস খানেক আগেও রমাপ্রসাদ যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন। লোকসভা ভোটের পরে তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি বিজেপি-শিবিরে ভিড়েছিলেন। পরে অবশ্য দলের তরফে নিযুক্ত জেলার পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন রমাপ্রসাদ।

Advertisement

বুধবারই মেদিনীপুরের বিদায়ী পুরপ্রধান প্রণব বসুর বাড়ির সামনে কাটমানি ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চা। বিজেপির দাবি, কাটমানির টাকা বিদায়ী পুরপ্রধানের ঘরেও রয়েছে। তারপরই বিজেপি ঘুরে তৃণমূলে আসা আরেক নেতার নামে পোস্টার পড়ায় শহর মেদিনীপুরে শোরগোল বেধেছে। বিজেপির অবশ্য দাবি, রমাপ্রসাদের বিরুদ্ধে পোস্টার তারা দেয়নি, ভুক্তভোগীরা দিয়েছেন। বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাসের কথায়, ‘‘আমরা পোস্টার দিলে এ ভাবে রাস্তার পাশের দেওয়ালে দেব কেন? তৃণমূল নেতার বাড়ির দেওয়ালেই মেরে আসব! কিংবা জেলা পরিষদের মধ্যে মেরে আসব!’’

দলেরই একাংশ মনে করছে, রমাপ্রসাদের অনুগামী নন, তৃণমূলের এমন কয়েকজন মিলেই মেদিনীপুরে এই পোস্টার দিয়েছে। রমাপ্রসাদ নিজে অবশ্য বলছেন, ‘‘এর পিছনে বিজেপির লোকজনই রয়েছে।’’ দলের ‘বিক্ষুব্ধরা’ নেই? রমাপ্রসাদ বলেন, ‘‘তৃণমূলের কোনও কর্মী এমন কাজ করতে পারে না! অন্তত যারা ভালবেসে দলটা করেন!’’ বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাস বলেন, ‘‘তৃণমূল এখন সবেতেই বিজেপির ভূত দেখছে। চাকরি পাবেন, এই আশায় যারা কাটমানি দিয়েছেন, চাকরি না- পেয়ে ওই পোস্টার তারাই মেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি ফেরাতে বলেছেন। নেতার উচিত, কাটমানি ফিরিয়ে দেওয়া।’’

এ দিন বিকেলে চন্দ্রকোনা রোডে রথযাত্রায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাটমানি প্রসঙ্গে বিঁধে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘‘দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে বলুন যাঁদের যাঁদের টাকা দলের কাছে আছে, তা এক জায়গায় বসে টাকাগুলো ফেরত দিয়ে দেবেন। ব্যস মিটে যাবে!’’ রাজ্য জুড়ে চলা কাটমানি-বিক্ষোভে বিজেপির যোগ নেই বলেও দাবি মুকুলের। তাঁর মতে, ‘‘এটা জনগণের আন্দোলন। জনগণ বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছে, এর সঙ্গে বিজেপির যোগ কোথায়!"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement