প্রতীকী ছবি।
মাঝের ব্যবধানটা মাত্র কয়েকদিনের। ঘাটাল ব্লকের সুলতানপুরে ফের পড়ল পোস্টার। দিনকয়েক আগে আবাস যোজনায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। তা নিয়ে তোলপাড়ও পড়েছিল এলাকায়। এ বার ওই পঞ্চায়েতের সোয়াই গ্রামে পানীয় জলের পাইপলাইন সংযোগে দুর্নীতি এবং আবাস যোজনায় পক্ষপাতিত্ব নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নামে পোস্টার পড়ছে। মঙ্গলবার পোস্টারের খবর জানাজানি হতেই তৃণমূল বিজেপির চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সুলতানপুরে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের উদ্যোগে পানীয় জলের পাইপলাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি ভাবেই বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। সেই সংযোগে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দ রায়ের নাম উল্লেখ করে টাকা নিয়ে জল সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। এলাকার ৭০ শতাংশ বাসিন্দাকে বঞ্চিত করে টাকা নিয়ে বেছে বেছে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আবাসের তালিকায় কারচুপির অভিযোগও উঠেছে।
সুলতানপুরে। নিজস্ব চিত্র
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ওই পোস্টার দিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ বারিক পোস্টারের কথা স্বীকার করে বলেন, “ওই পানীয় জলের সংযোগের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের কোনও যোগ নেই। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর নিজেরাই পাইপ পাতার কাজ করছে। পঞ্চায়েতের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। তা হলে পঞ্চায়েত সদস্য জড়িত থাকবে কী ভাবে।”
ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “গ্রামের মানুষ ওই পোস্টার দিয়েছেন। তাঁদের কাছে প্রমাণও রয়েছে। টাকা নিয়ে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষকে বঞ্চিত করে জল নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল।” বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাজি বলেন, “পোস্টার দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে যোগ্য জবাব দেবেন এলাকার মানুষ।”