রাস্তার ধারে স্তূপাকার আবর্জনা। দুর্গন্ধে পথ চলা দায়। খড়্গপুরের কৌশল্যায় (বাঁ দিকে)। শহরের টাউন হলেরও জীর্ণ দশা (ডান দিকে)। ইনসেটে, মুখোমুখি পুরপ্রধান। — রামপ্রসাদ সাউ।
শহরের সব মোড়ে সিগন্যাল লাগালে ভাল হয়। দুষ্কৃতী তাণ্ডবও বেড়েছে। পুরসভার জমি দখল করে ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা চলছে। সমস্যা সমাধানে পুরসভা পদক্ষেপ করছে না কেন ?
শঙ্কর সর্বজ্ঞ(রেলকর্মী), ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে রাস্তার মো়ড়ে সিগন্যাল বসানো নিয়ে কী করা যায় দেখব। দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও কথা বলব।
•••
রাস্তার কলে জল অপচয় হয়। আর তালবাগিচার কিছু অংশে জলের সঙ্কট রয়েছে। জলের সমস্যা মেটাতে পুরসভা কী ভাবছে?
সঞ্জীব ঘোষদস্তিদার (রেলকর্মী), ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: তালবাগিচা শহরের প্রান্তিক এলাকা। কয়েকটি জায়গায় জলের অভাব থাকতে পারে। এ বার গ্রীষ্মে জলসঙ্কটের অভিযোগ পাইনি। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে নতুন জলপ্রকল্প চালু হয়ে যাবে। আশা করি, তারপরে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
•••
শহরের সব ছোট-বড় সব দোকানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বসানো জরুরি। দোকানের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার সময় অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র থাকা পুরসভা বাধ্যতামূলক করছে না কেন ?
প্রণব দাম (ব্যবসায়ী), ৮ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য এই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখব। তবে কী ভাবে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে।
•••
গোপালীতে আবর্জনা ফেলার জমি পাওয়া গিয়েছে শুনেছিলাম। কিন্তু বুলবুলচটিতে জঞ্জালের দুর্গন্ধে টেকা দায়। পুরসভা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ?
বীরেন মাইতি (প্রাক্তন পোস্টমাস্টার), ২৫ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: বুলবুলচটির সমস্যা নিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলব। আবর্জনা ফেলার জন্য পুরসভার নিজস্ব ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই। রাজ্য সরকারের দেওয়া দু’টি কম্প্যাক্টর যন্ত্র দিয়ে শহরের আবর্জনা সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে।
•••
ইন্দা গার্লস স্কুলের সীমানা প্রাচীরের পাশে ওয়ার্ডের সমস্ত আবর্জনা ফেলা হয়। বাড়ছে দূষণ ও মশার উপদ্রব। পুরসভা দূষণ কমাতে কী করছে?
পাপিয়া চট্টোপাধ্যায় (স্কুল শিক্ষিকা), ১ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: স্কুলের বাইরে কেন এ ভাবে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে তা নিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলব। এলাকায় ভ্যাট বসানো যায় কি না দেখা হবে। তবে এলাকার বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে।
•••
বিদ্যাসাগরপুরের মূল রাস্তা বেহাল। অল্প বৃষ্টিতেই ভাসে রাস্তা। পুরসভা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?
সোমা সেনগুপ্ত (সরকারি কর্মী), ২ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: রাস্তার বিষয়ে এমকেডিএ-কে বলেছি। অর্থ বরাদ্দ হলেই রাস্তা সংস্কার হবে। নিকাশি সংস্কারে মাস্টার প্ল্যানের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে টাকা চেয়েছি।
•••
গলিপথে আলোর অভাব রয়েছে। পথবাতিরও রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। এলাকায় সাফাইকর্মীদেরও দেখা মেলে না। এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না কেন?
স্বাতী সর্বজ্ঞ(গৃহবধূ), ১৪ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: গলিপথে পথবাতি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দিলে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি। এ বার কোনও ওয়ার্ডে স্কিমের বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখব।
•••
শহরে একটিও প্রেক্ষাগৃহ নেই। সব রাস্তার ধারে ফুটপাথও নেই। সর্বত্র ফুটপাথ তৈরির ব্যাপারে পুরসভা কী ভাবছে?
দীপক দাশগুপ্ত (জ্যোতিষী), ১৪ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: গিরি ময়দানের পাশে পুরসভার টাউনহল রয়েছে। একটি সংস্থাকে হলটি ভাড়া দেওয়া ছিল। সম্প্রতি হলটি আমরা নিজেদের হাতে নিয়েছি। পিপিপি মডেলে বহুতল গড়ে শপিং কমপ্লেক্স ও প্রেক্ষাগৃহ গড়ার পরিকল্পনা করেছি। মেদিনীপুর শহরের মতো ফুটপাথ তৈরি করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
•••
শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। বেড়ে গিয়েছে ভবঘুরেদের আনাগোনাও। পুরসভা এদের জন্য কি কিছু করতে পারে?
প্রসেনজিৎ দে(সমাজকর্মী), ১ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: শহরে একটি ‘চাইল্ড লেবার স্কুল’ রয়েছে। স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা করব। জমি পাওয়া গেলে ভবঘুরেদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।
•••
পুরসভার ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। তারপর থেকে শহরে এই কর্মসূচি ঝিমিয়ে পড়ল কেন?
মদনকুমার নাগ (প্রধান শিক্ষক), ২৫ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: মানুষ এখনও সচেতন নয়। হেলমেট ছাড়া পাম্পে পেট্রোল দেওয়া চলছে বলে খবর দেখলাম। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।
•••
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশের মতো ব্যক্তিরা শহরে এসেছিলেন। যদিও সাহিত্যচিন্তার প্রসারে শহরে কিছুই হয়নি। সম্প্রতি চিকিৎসক বিমল রাজ সাহিত্যসভার ভবন গড়তে অর্থ ও জমিও দিয়েছেন। এ বিষয়ে পুরসভা কী করছে ?
তপন তরফদার (অবসরপ্রাপ্ত), ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: সাহিত্যসভার জন্য ভবন গড়তে পদক্ষেপ করব। বিমল রাজ ঠিক কী বলেছেন আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।