নজরে: ঝাপেটাপুরের এই পুজো উদ্বোধনের কথা শুভেন্দু অধিকারীর। নিজস্ব চিত্র।
রেলশহরে বিগ বাজেটের দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এগিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কম বাজেটের কয়েকটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বিজেপির দাবি ছিল, টাকা ও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে পুজো কমিটি দখল করেছে তৃণমূল। শুরু হয়েছিল রাজনীতি। এ বার কালীপুজোর উদ্বোধনেও রাজনীতি এড়াতে পারল না পুজো কমিটিগুলি!
আজ, শনিবার খড়্গপুরের বেশ কয়েকটি কালীপুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে। সেই উপলক্ষেই শহরে আসার কথা রয়েছে শুভেন্দু ও দিলীপের। শহরে আসন্ন বিধানসভা উপ-নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এমন উদ্বোধনের হিড়িক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার মালঞ্চ স্টার ইউনিটের ৪৩ বছরের কালীপুজোর উদ্বোধনে আসার কথা রয়েছে সাংসদ দিলীপের। এ বার পুজোর মণ্ডপ পদ্মের আদলে গড়ার কথা ছিল পুজো কমিটির। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের এক ডেকরেটর্স অগ্রিম নিয়েও কাজ করতে না আসায় শেষ বেলায় মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়া হচ্ছে বলে পুজোর কর্মকর্তাদের দাবি। যদিও এসবের পিছনে কোনও রাজনীতি নেই বলেই দাবি পুজো কমিটির। পুজো কমিটির উপদেষ্টা দীনেশ দোলুই বলেন, “আমরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি নয়, সাংসদ হিসাবে দিলীপ ঘোষকে উদ্বোধনে ডেকেছি। আর ‘লোটাস টেম্পল’ গড়ার কথা থাকলেও ডেকরেটর্স পালিয়ে যাওয়ায় তা হয়নি।” ঝাপেটাপুর মোড়ে ‘টুয়েন্টি সেভেন্থ ইউথ সেন্টারে’র ২৪তম বর্ষের পুজোর উদ্বোধনের কথা রয়েছে শুভেন্দুর। তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে ওই পুজোর উপদেষ্টা।
ঝাপেটাপুরের ‘টুয়েন্টি সেভেন্থ ইউথ সেন্টারে’র পুজোর এ বারের থিম— ‘চাই না যুদ্ধ, নিয়ে এলাম বুদ্ধ’। রবিশঙ্করের কথায়, ‘‘দেশের শান্তি বিঘ্নিত। তাই দেশবাসীকে শান্তির বার্তা দিতে আমরা এমন থিমে পুজো করছি।” বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “বুদ্ধ শান্তির দূত বলে আমরাও মনে করি। কিন্তু দেশে নয়, আসলে রাজ্য জুড়ে অশান্তি চলছে। বারবার শুভেন্দু অধিকারী আসায় খড়্গপুরও অশান্ত হচ্ছে। তার প্রতিবাদে ওই থিম বেছেছে ওই পুজো কমিটি।”
পুজোর উপদেষ্টা রবিশঙ্কর। উদ্বোধক শুভেন্দু। কিন্তু টুয়েন্টি সেভেন্থ ইউথ সেন্টারে’র পুজোয় ডাক পাননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রবিশঙ্কর বলছেন, “দিলীপ ঘোষ সাংসদ হলেও আমাদের সঙ্গে তো যোগাযোগ রাখেন না। তাই ডাকিনি।’’
আর শহরের বাসিন্দা বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি গৌতমের কথায়, ‘‘তৃণমূল টাকা ও প্রশাসনের চাপ দিয়ে পুজো কমিটিগুলি দখল করে শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্বোধনে এনে রাজনীতি করছে। কিন্তু মানুষ সব দেখছে। নির্বাচনে এর ফল টের পাবে তৃণমূল।”