ব্যবসায়ীদের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে ১৪ লক্ষ নগদ টাকা ও বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভূপতিনগর থানার বাজকুল এলাকার ঘটনা। পুলিশি হানার খবর পেয়েই অভিযুক্ত ব্যক্তি আগেই পালায়। তাই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘বাজকুলের বাসিন্দা নারায়ণ মাইতি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এসেছিল। এ দিন ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৪ লক্ষ টাকা ও বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে টাকা দ্বিগুণ করা, কম দামে সোনা দেওয়া ও বিভিন্ন ব্যবসায় মোটা লাভের টোপ, এমনকি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা নিয়ে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে একদল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরেই মূলত বাজকুল এলাকা ও সংলগ্ন ভগবানপুর থানার নারায়ণদাঁড়িতে এই চক্র সক্রিয় ছিল। পুলিশ ওই চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও এখনও বেশ কয়েকজন ওই প্রতারণা চক্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। জেলা পুলিশ সুপারের কাছে নারায়ণ মাইতির বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন ঝাড়খণ্ডের এক ব্যবসায়ী।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে ওই ব্যক্তিকে ধরতে তদন্ত শুরু করে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া-সহ পুলিশ বাহিনী বাজকুল বাজারের কাছে নারায়ণ মাইতির বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশের হানার আগেই নারায়ণ-সহ তাঁর বাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।
এ দিন নারায়ণের বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ঢুকে পুলিশ ভিতরে ঢোকে। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষেরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় বিভিন্ন সংস্থার নকল নথিপত্রও। কী ভাবে চলত এই প্রতারণা চক্র? পুলিশ সুপার জানান, কাগজে বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখে নিজেকে বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে নারায়ণ মাইতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ফোনে যোগাযোগ করে তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করার লোভ দেখাত। এ জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আসা ওই ব্যবসায়ীদের বাজকুল এলাকায় নারায়ণ মাইতির বাড়িতে ডাকা হত। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আসার পরেই নারায়ণের সঙ্গে প্রতারণা চক্রের বাহিনীর লোকেরা পুলিশের পোশাক পরে পুলিশ সেজে তাঁদের ভয় দেখিয়ে তাড়া করে সেখান থেকে হটিয়ে দিত। এ ভাবেই প্রতারণা চক্র রমরমিয়ে চলত বলে অভিযোগ।
ডাকাতিতে গ্রেফতার পাঁচ। ডাকাতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাতে জড়িত অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে পাড়া থানার বামুনবাইদ গ্রাম থেকে তাঁদের ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অসিরুদ্দিন ওস্তা, ইসারুল ওস্তা, সাগর ওস্তা, সাইনুল শাহ ও মূলতাজ শাহ। প্রত্যেকেরই বাড়ি বামুনবাইদ গ্রামেই। বৃহস্পতিবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার রাতে পাড়ার থানার দুবড়াতে করিম শাহ নামে এক ব্যবসায়ীর কয়লার গুদামে ডাকাতি হয়। দুষ্কৃতীরা কর্মীদের মারধর করে নগদ টাকা, মোবাইল প্রভৃতি করে বলে অভিযোগ।