IIT Kharagpur Student Death

খড়্গপুর আইআইটির মৃত ছাত্রের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ! ল্যাপটপ, মোবাইল ঘেঁটে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা

খড়্গপুর আইআইটির হস্টেলের ঘর থেকে রবিবার উদ্ধার হয়েছিল শাওন মালিকের দেহ। তৃতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র শাওনের মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৫
Share:

আইআইটি খড়্গপুরের মৃত ছাত্র শাওন মালিক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্র শাওন মালিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর চার বন্ধুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এমনই খবর বিশেষ সূত্রে। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় তদন্তকারীরা ওই চার জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। সূত্রের খবর, শাওনের গত কয়েক দিনের গতিবিধি, পড়াশোনা, কার কার সঙ্গে দেখা করেছেন বা কথা বলেছেন— সেই সব তথ্য সংগ্রহ করতেই তাঁর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

Advertisement

খড়গপুর আইআইটির হস্টেলের ঘর থেকে রবিবার উদ্ধার হয়েছিল শাওনের দেহ। তৃতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রের মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই তাঁরা শাওনের দু’টি মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছেন।

শাওনের বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তারা জানতে পেরেছে শনিবার রাতে ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন শাওন। কিন্তু তার আগে বা পরে তিনি আর কার কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, রাতে কী খেয়েছিলেন— সব কিছুই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার করা মোবাইল এবং ল্যাপটপ থেকে কোনও নতুন তথ্য পাওয়া যায় কি না, তা-ও নজরে রয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মোবাইল এবং ল্যাপটপে পাসওয়ার্ড দেওয়া আছে। তা খুলে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। যদিও পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি থানায়। তবে পুলিশকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল। আইআইটির আজাদ হলের তিনতলায় ৩০২ নম্বর ঘরে গিয়ে খতিয়ে দেখে তারা। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। কিছু নমুনাও সংগ্রহ করে নিয়ে যান তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত শাওনের মৃত্যুরহস্যের কিনারা হয়নি। রবিবার রাতেই শাওনের দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। তার পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement