বন্ধ দোকানপাট। —নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের হাতে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা প্রশান্ত বসু ওরফে কিসানদা এবং তাঁর স্ত্রী শিলা মারান্ডিকেও গ্রেফতারের প্রতিবাদে শনিবার ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। এ রাজ্যের জঙ্গলমহলের কিছু এলাকায় তার কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে সতর্ক পুলিশও। গত কয়েক দিন ধরেই নাকা তল্লাশি চলছে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা নভেম্বর মাস জুড়েই চলবে ওই তল্লাশি।
শনিবার লালগড়, বেলপাহাড়ি, বিনপুরের কয়েকটি এলাকায় দোকান খুলতে দেখা যায়নি ব্যবসায়ীদের। রাস্তায় বেসরকারি বাসও তেমন একটা দেখা যায়নি। তবে সরকারি বাস চলেছে। ঘটনাচক্রে ওই সব এলাকা এক সময়ের মাওবাদী ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। সর্বত্র নজরদারি জারি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিসানদার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মাওবাদীদের বন্ধ ডাকা ছাড়াও জঙ্গলমহলে পুলিশি সতর্কতার আরও বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্বর কিসানজির দশম মৃত্যুবার্ষিকী। এ ছাড়া সম্প্রতি গ়ডচিরোলিতে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জন মাওবাদী সদস্যের। সেই বিষয়গুলি মাথায় রেখেও সতর্ক জঙ্গলমহলের প্রশাসন।
ঝাড়গ্রামে কোনও নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট জায়গার বদলে হঠাৎ করে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গত কয়েক দিন ধরেই চলছে এমন ব্যবস্থা। পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দারা নজরদারি চালাচ্ছেন জঙ্গলমহল জুড়ে। বেলপাহাড়ি, বিনপুর, জামবনী, নয়াগ্রাম, লালগড় থানায় বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে জেলা পুলিশ। বাকি থানাগুলিতেও চলছে নজরদারি। সাইকেলে বা গাড়িতে এলাকায় যাঁরা যাতায়াত করছেন তাঁদের তল্লাশি করা হচ্ছে।