ধৃত সঞ্জীব যাদব। নিজস্ব চিত্র
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ রেলশহরের এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সোমবার রাতে খড়্গপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে টাউন থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সঞ্জীব যাদব ওরফে জিল্লা ছট্টু নামে ওই যুবকের বাড়ি শহরের জিনতলাব এলাকায়। তার থেকে একটি নাইন এম এম পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, কাউকে মারার জন্যই বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল সঞ্জীব। টাউন পুলিশের টহলরত বাহিনী সেখানে গেলে বাকিরা পালিয়ে যায়। তবে সঞ্জীব ধরা পড়ে যায়। কী উদ্দেশ্যে সে অস্ত্র-সহ ঘোরাঘুরি করছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব শহরে দুষ্কৃতী হিসেবেই কুখ্যাত। শহরের কুমোরপাড়া, ভগবানপুর, শাস্ত্রীনগর এলাকায় বছর পঁচিশের এই যুবকের দাপট রয়েছে। এর আগেও ডাকাতি, হুমকি, তোলাবাজি-সহ নানা অভিযোগে মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একসময়ে নিহত রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তার। পরে শ্রীনুর ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে এলাকা দখলের চেষ্টা শুরু করে। সেই নিয়ে ২০১৪ সালের শেষ দিকে কুমোরপাড়া এলাকার বাসিন্দা শ্রীনু ঘনিষ্ঠ দীপঙ্কর শুক্লর সঙ্গে সঞ্জীবের সংঘাত শুরু হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে এলাকা দখলের লড়াইয়ে আহত হন দীপঙ্কর। ওই ঘটনার দিন পনেরো পরেই দীপঙ্কর বিরোধী বলে পরিচিত সঞ্জীব গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনায় দীপঙ্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সঞ্জীবের পরিবার।
সেই দীপঙ্কর নানা ঘটনায় জড়িয়ে এতদিন জেলবন্দি থাকার পরে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছে। দীপঙ্করের অনুপস্থিতিতে এলাকায় নিজের প্রভাব আরও বাড়ায় সঞ্জীব। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, শ্রীনুর মৃত্যুর পরে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়া দীপঙ্করও এখন সঞ্জীবের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
কুমোরপাড়ার স্থানীয় এক বাসিন্দার আশঙ্কা, “মাস খানেক আগেই দীপঙ্কর জেল থেকে বেরিয়েছে। এখন দেখছি এলাকায় তেমন উৎপাত করছে না। কিন্তু গোপনে তো সকলের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে। হতে পারে সঞ্জীব ও দীপঙ্কর মিলে শহরে নতুন করে দুষ্কর্ম করতে চাইছিল।”