গ্রেফতারের পরে। খড়্গপুরে। নিজস্ব চিত্র।
গ্রাহক সেজে শহরের দুই এলাকা থেকে ৭জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করল টাউন পুলিশ। সেই সঙ্গে দিনকয়েক আগের ছিনতাইয়ের ঘটনায় জুড়ে গেল মাদক কারবারিদের একটি দলের নাম!
শনিবার রাতে খড়্গপুরের বারবেটিয়া ও নিমপুরা এলাকা থেকে ওই ৭জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারবেটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মুস্তাক খান, নাজিমা বিবি ও আজমত খানকে। ধৃতদের বাড়ি নারায়ণগড়ের কসবা এলাকায়। তাদের থেকে ১১ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে ওই রাতেই নিমপুরা রাখাজঙ্গল থেকে খরিদার সুরজকুমার যাদব, উজ্বল স্বর্ণকার, সুভাষপল্লির পি ভেঙ্কট রাও, নিমপুরার ছটু কেশরিয়াকে গ্রেফতার করে। তাদের থেকে কয়েক কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। এই চারজনের দলটি শহরের ২৩জুন ইন্দার বিদ্যাসাগরপুরের একটি ছিনতাইয়ে জড়িত বলে পুলিশের দাবি।
আইসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে পুলিশের এক এনভিএফ গ্রাহক সেজে শহরের একজনের মারফত নারায়ণগড়ের ওই মাদক কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কথা মতো বারবেটিয়ায় মাদক হাতবদল করতে বাইকে পৌঁছে যায় এক মহিলা-সহ তিনজন। আগে থেকে সেখানে সাদা পোশাকে পুলিশ ছিল। পুলিশ হাতেনাতে ওই তিনজনকে পাকড়াও করে। নিমপুরাতেও একই কায়দায় গাঁজা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের সন্দেহ হয়, গত ২৩ জুন শহরের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সম্ভবত এই দলটি যুক্ত। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। চারজনই জানায় ২৩ জুন যুবতীর স্কুটি দাঁড় করিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় তারা যুক্ত নয়। এরপরই পুলিশ ওই ছিনতাইয়ের ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মিলিয়ে দেখতে শুরু করে। দেখা যায় চারজনের মধ্যে তিনজনই ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুক্ত।