— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
১৩ বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত গৃহশিক্ষক। মঙ্গলবার তাঁকে ২১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রামের বিশেষ পকসো আদালত।
২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাঁকরাইল থানায় নির্যাতিতার মা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর ১৩ বছরের মেয়েকে গৃহশিক্ষক ধর্ষণ করেছেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সাঁকরাইল থানার পুলিশ চলতি বছরের ১ জানুয়ারিতে ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করে। ধর্ষণ এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়। গ্রেফতারের পর গৃহশিক্ষককে পেশ করা হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে। বিচারকের নির্দেশে তখন থেকেই জেল হেফাজতে রয়েছেন ওই গৃহশিক্ষক।
২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর সোমবার গৃহ শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে ঝাড়গ্রামের বিশেষ পকসো আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর সাজা ঘোষণা করল ঝাড়গ্রামের বিশেষ পকসো আদালত। ঝাড়গ্রাম আদালতের সরকারি আইনজীবী তপনকুমার চৌধুরী জানান, নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত গৃহশিক্ষককে ২১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়গ্রামের বিশেষ পকসো আদালত। পাশাপাশি, ৬,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিতে পারলে অতিরিক্ত তিন মাস ১০ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তার পাশাপাশি নাবালিকাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।