জল-কাদায় ভরা এই রাস্তা নিয়েই ক্ষোভ রেশন গ্রাহকদের। নিজস্ব চিত্র
রেশন সামগ্রী আনতে যেতে হয় তিন কিলোমিটার দূরে। তা-ও আবার জলকাদা ডিঙিয়ে। রাস্তার দু’পাশও ঝোপে-আগাছায়। কোলাঘাটের বৃন্দাবনচক এলাকার বাঁকাডাঙা গ্রামে চাষের কাজ ফেলে ওই তিন কিলোমিটার রাস্তা উজিয়ে রেশন দোকানে লাইন দেন আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, রেশন নিয়ে বেহাল রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরতেও অনেক সময় লেগে যায়। তাই বাঁকাডাঙা গ্রামে নতুন রেশন দোকান খোলার দাবি জানিয়ে জেলার খাদ্য নিয়ামককে চিঠি দিয়েছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।
বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েতের যদুপুরে একটি রেশন দোকান রয়েছে। যদুপুর, চাপদা এবং বাঁকাডাঙা গ্রামের ছ’হাজার ৮০০ গ্রাহক ওই রেশন দোকানের আওতায় রয়েছেন। দোকান থেকে ওই তিনটি গ্রামের মধ্যে সবচেয়ে দূরবর্তী হল বাঁকাডাঙা। দূরত্ব তিন কিলোমিটারেরও বেশি। ওই গ্রাম থেকে রেশন দোকানে যাওয়ার রাস্তাটি চাপদা স্লুইস গেট থেকে চাপদা দিন্দা পাড়া পর্যন্ত কাঁচা।
স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তাটি ঢালাই করতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। বর্ষার সময় জল কাদায় ভরে যায় রাস্তাটি। চাষের সময় এতখানি পথ অতিক্রম করে রেশন নিয়ে আসতে গিয়ে ক্ষতি হয় চাষের কাজে। কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েকের দাবি, ‘‘বর্ষার সময় রাস্তায় কাদা থাকে। দুই ধার পার্থেনিয়ামের জঙ্গলে ভরে যায়। বাঁকাডাঙা গ্রামে নতুন রেশন দোকান খোলার দাবি জানিয়েছি। সেটা সম্ভব না হলেও ওই ডিলারের তত্ত্বাবধানে বাঁকাডাঙা গ্রামে কোনও বর্ধিত কাউন্টার খোলার আবেদন জানাচ্ছি।’’
যদিও এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই এলাকায় নতুন রেশন ডিলার নিয়োগের কোনও সম্ভাবনা এখনই নেই।’’ বেহাল রাস্তা ঢালাই করার দাবির বিষয়ে কোলাঘাটের বিডিও মদন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। প্রয়োজনে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে পদক্ষেপ করতে বলব।’’