প্রতীকী ছবি।
রেলশহর খড়্গপুরে নেই সরকারি অতিথি নিবাস। তাই মুখ্যমন্ত্রী অথবা অন্য কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি শহলে এলে হোটেল অথবা জেলার সার্কিট হাউজ। ভাড়া করতে হয়। এ বার জেলা সফরে এসে খোদ মুখ্যমন্ত্রীই অতিথি নিবাস তৈরির কথা বলেছেন। তারপরেই পরিকল্পনা শুরু করেছে পুরসভা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়্গপুর শহরের চৌরঙ্গীর সৌন্দর্যায়নে জোর দিতে বলেছেন।। এই চৌরঙ্গী সংলগ্ন এলাকাতেই একটি অতিথি নিবাস গড়ার দাবি দীর্ঘদিনের। বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি সেই দাবি জানিয়েছেন পুর প্রশাসক তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকার। এ বার জেলা সফরে আসা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জেলার সার্কিট হাউজে গিয়ে খড়্গপুর শহরের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রদীপ। চৌরঙ্গী সংলগ্ন বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে প্রস্তাবিত স্টেডিয়ামের কাজের অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়। সেই কাজ যাতে দ্রুত হয় পূর্ত দফতরকে তা দেখার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়েই চৌরঙ্গী সংলগ্ন এলাকায় একটি অতিথি নিবাস তৈরির প্রসঙ্গ উঠলে সেখানে রাজ্য শিল্পোন্নয়ণ নিগমের মাধ্যমে সেটি তৈরির কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে পুরসভার মাধ্যমে চৌরঙ্গী এলাকাকে সাজিয়ে তোলার নির্দেশও দেন তিনি।
পুর প্রশাসক তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, “চৌরঙ্গী সংলগ্ন ওই বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে একটি অতিথি নিবাসের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হয়ে চলেছে। দিদি রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে ওই অতিথি নিবাস গড়ার জন্য বলেছেন। চৌরঙ্গী এলাকা পুরসভার মাধ্যমে সাজিয়ে তোলার জন্য আমাকে বলেছেন। আমরা দিদির নির্দেশ মতো ওই এলাকা সাজিয়ে তুলব।”
খড়্গপুর ও মেদিনীপুর হরের সংযোগস্থল ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের চৌরঙ্গী এলাকাটি গ্রামীণ থানার অন্তর্ভুক্ত। সেটি খড়্গপুর শহরের প্রবেশদ্বার। তাই গত কয়েকবছর ধরে খড়্গপুর শহরে মুখ্যমন্ত্রী এলেই পুরসভার মাধ্যমে সেই জায়গা অস্থায়ীভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে সেই এলাকাকে স্থায়ীভাবে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু হস। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, পুরো প্রকল্পের প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয়েছে। তবে এখনও এর বরাদ্দ ঠিক হয়নি। সব পরিকল্পনা অনুমোদন হলে রাজ্য থেকে অর্থ বরাদ্দ হবে।প্রদীপ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যখন নিজেই নির্দেশ দিয়েছেন তখন অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আমরা ভাবছি না। রাজ্য থেকে অর্থ পাওয়া যাবে। আমরাও পুরসভার কিছু তহবিল থেকে সৌন্দর্যায়ন করব।”