মান উন্নত হওয়ায় বাড়ছে আস্থা। — ফাইল চিত্র।
মান ফিরছে হাসপাতালে। লক্ষ্যণীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অস্ত্রোপচারের সংখ্যা। ঘটনায় স্বস্তিতে হলদিয়ার মানুষজন।
হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মান নিয়ে, বিগত মাস ছয়েক আগেও একাধিক অভিযোগ উঠে আসছিল। হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর চাপ, একাধিক ক্ষেত্রে রেফারের ঘটনা, হাতেগোনা জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারের সংখ্যা দেখে উদ্বেগে ছিলেন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরাও। নানা অভিযোগ পেয়ে একাধিকবার পরিদর্শনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন খোদ জেলাশাসক। এরপরই গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জেলাশাসকের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের চার অভিজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি কোর মেডিক্যাল গ্রুপ গঠন করেন। কমিটির কনভেনর করা হয় হাসপাতালের চিকিৎসক নীলাঞ্জন চক্রবর্তীকে।
ঘটনার দু’মাস যেতেই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবায় উন্নতি হতে শুরু করে বলে দাবি স্থানীয়দের। রোগীর পরিজনদের একাংশের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা এখন অনেকটাই উন্নত। কমেছে অন্যত্র রেফারের সংখ্যাও। সব মিলিয়ে স্বস্তিতে রোগীরাও। জানা যাচ্ছে, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারের সংখ্যাও অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাসে হাসপাতালে ‘মেজর অপারেশন’ হয়েছে ৮৭টি, ‘মাইনর অপারেশন’ হয়েছে ২৫টি, ‘প্লাস্টার’ করা হয়েছে ৩০৪টি।
চিকিৎসকদের একাংশের মত, পরিকাঠামোর অভাবে রোগীর পরিবারও চিকিৎসকদের প্রতি ভরসা করতে পারছিলেন না। কিন্তু হাসপাতালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খুশি শিল্পশহরবাসী। হলদিয়ার বাসিন্দা অলকেশ পণ্ডা বলেন, ‘‘বর্তমানে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে পরিষেবার মান বেশ উন্নত। সময় মতো চিকিৎসকেরাও বহির্বিভাগে উপস্থিত থাকেন।’’ মেডিক্যাল কোর কমিটির কনভেনর নীলাঞ্জন চক্রবর্তীর ভাষায়, ‘‘সকলে মিলে একসঙ্গে আলোচনা করে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তা দ্রুত বাস্তবে রূপায়িতও করা হয়। এতেই হাসপাতালে পরিষেবার মান উন্নত করা গিয়েছে।’’
এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন সরকারি হাসপাতালে আরও ভাল চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর।’’