বৃষ্টি হলেই প্রমাদ গোনেন শহরবাসী

নিকাশি নিয়ে ক্ষুব্ধ পাঁশকুড়া

পুরভোটের প্রচারে শাসক দল তৃণমূলের তরফে শহরে উন্নয়নের নানা খতিয়ান তুলে ধরা হলেও শহরের বেহাল নিকাশি নিয়ে সরব বিরোধীরা। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাম আমলের ট্র্যাডিশান তৃণমূলের আমলেও সমানে চলেছে।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

তমলুক শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৩০
Share:

জল-পথে: রাস্তায় জমে আছে বৃষ্টির জল। নিজস্ব চিত্র

মাত্র আধ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিপাত। তাতেই জলে ডুবে যায় পাঁশকুড়া শহরের স্টেশন বাজার-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। জমা জল সরতেও চায় না কারণ নিকাশির অবস্থা শোচনীয়। প্রধান রাস্তা থেকে দোকানপাট এমনকী অনেক ঘর বাড়ি থেকেও জল সরতে অনেক দিন লেগে যায়।

Advertisement

পুরভোটের প্রচারে শাসক দল তৃণমূলের তরফে শহরে উন্নয়নের নানা খতিয়ান তুলে ধরা হলেও শহরের বেহাল নিকাশি নিয়ে সরব বিরোধীরা। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাম আমলের ট্র্যাডিশান তৃণমূলের আমলেও সমানে চলেছে।

পাঁশকুড়া ষ্টেশন রোড ধরেই তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের দু’ধারে বসে আনাজ বাজার। সোমবার সকালে গিয়ে দেখা যায় স্টেশন রোডের পাকা সড়কের একাংশ জলে ডুবে। ওই অবস্থাতেই চলছে বাস, ট্রেকার, লরি, মোটরসাইকেল। ষ্টেশন থেকে পাকা সড়ক ধরে প্রায় ৩০০ মিটার এলাকায় দু’ধারে থাকা অধিকাংশ নিচু দোকানপাটের একাংশ জলে ডুবে। ফুটপাথও চলে গিয়েছে জলের নীচে। জলে ডোবা রাস্তা পেরিয়ে স্টেশনে যাতায়াত করতে ভোগান্তির একশেষ হাজার হাজার মানুষের।

Advertisement

স্টেশন রোডের পূর্ব দিকে পুরসভার ৯ ও পশ্চিম দিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড। ওই দুই ওয়ার্ড এলাকার বেশ কিছু রাস্তা ও বাড়িঘরে জল ঢুকেছে। স্টেশন রোডের ধারেই কাপড় দোকান তপন পাত্রের। দোকানের সামনে হাঁটুজল। তপনবাবুর ক্ষোভ, ‘‘এ ভাবে ব্যবসা চলে। পুরসভার নজরই নেই।’’

স্টেশন রোডের দু’পাশে কনকপুর, বাহারগ্রাম ও সুরানানকার এলাকার বেশ কিছু বাড়িও জলমগ্ন গত কয়েকদিন ধরে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রকান্ত সামন্তের অভিযোগ, এই এলাকার প্রধান নিকাশিনালা দিয়ে ৬, ৭, ৮, ৯, ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বৃষ্টির জল রেলের ঝিল হয়ে সোয়াদিঘি খাল দিয়ে রূপনারায়ণে পড়ে। কিন্তু রেল ও পুরসভার নিকাশিনালা যেখানে মিলেছে সেখানে অবৈধ নির্মাণ হওয়ায় নিকাশিনালা সরু হয়ে গিয়েছে। ফলে জল বেরোতে পারছে না। ভারী বৃষ্টি হলেই প্রতি বছর এই সব এলাকা জলে ডুবে যায়। রাজ্যে উন্নয়নের ছবিটা আসলে কী তা এখানকার মানুষ বুঝতে পারছেন।

নিকাশিনালার উপর অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন বিদায়ী তৃণমূল পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খানও। তাঁর যুক্তি, ‘‘রেলের ঝিলের কাছে নিকাশিনালার একাংশ দখল করে অবৈধ নির্মাণে পুরসভা বাধা দিয়েছিল। কিন্তু দলেরই একাংশ তার বিরোধিতা করায় অবৈধ নির্মাণ আটকানো যায়নি। ফলে নিকাশির সমস্যা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement