ভোটের ফল আজ, অপেক্ষায় সবং

ভোটের আগেই সবংয়ের তৃণমূল প্রার্থী গীতারানি ভুঁইয়ার ছেলে কৌশিক আমেরিকা থেকে ফিরেছেন। আয়ারল্যান্ড থেকে এসেছেন ভাইপোও। ছেলে ও ভাইপোর সঙ্গেই শনিবার সারাদিন খোশমেজাজে কাটালেন গীতাদেবী।

Advertisement

দেবমাল্য বাগচী

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:২৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

পরীক্ষা শেষ। এ বার ফল ঘোষণার অপেক্ষা। পরীক্ষায় কে ‘স্টার মার্কস’ পেলেন আর কে-ই বা পিছিয়ে পড়লেন, তা জানা যাবে আজ, রবিবার। খড়্গপুরের ঝাপেটাপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে এ দিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগণনা। তবে তার আগে শনিবার সবং উপ-নির্বাচনের প্রার্থীদের কারও দিন কাটল ভোট-অঙ্কের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে, কেউ বা আবার দিনভর ব্যস্ত থাকলেন কর্মীদের ফোন সামলাতে।

Advertisement

ভোটের আগেই সবংয়ের তৃণমূল প্রার্থী গীতারানি ভুঁইয়ার ছেলে কৌশিক আমেরিকা থেকে ফিরেছেন। আয়ারল্যান্ড থেকে এসেছেন ভাইপোও। ছেলে ও ভাইপোর সঙ্গেই শনিবার সারাদিন খোশমেজাজে কাটালেন গীতাদেবী। বৌমা সায়ন্তিকার সঙ্গে করলেন রান্নাও। ফুরফুরে ছিলেন গীতাদেবীর স্বামী সাংসদ মানস ভুঁইয়াও। তারই মাঝে সময় পেলেই বার কয়েক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে স্ত্রী-র ভোটের সম্ভাব্য ব্যবধান নিয়ে হিসেবও কষলেন। মানসবাবু বলছিলেন, “চাপ কিছু নেই। ব্যবধান কী হবে এখন তা নিয়েই চিন্তা। ছেলে, বৌমা, ভাইপো, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে গল্প করে ভালই দিন কাটছে। ফোনে কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। স্ত্রী রান্না নিয়ে ব্যস্ত।” রবিবার সকালে মেদিনীপুরে কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট গণনা কেন্দ্রে যাবেন মানসবাবু।

স্কুলের করণিক রিতা মণ্ডল জানা অন্যদিনের মতো শনিবার সকালেও রান্না সেরে স্কুলের উদ্দেশে রওনা দেন। কাজের মাঝেই বারবার ফোন করে কর্মীদের খবর নিয়েছেন রিতাদেবী। গোলমালের খবর পেয়ে কর্মীদের ভেঙে না পড়ার কথা বলেছেন। অশান্ত পরিস্থিতি সামলানোর উপায়ও বাতলে দেন তিনি। রিতাদেবী বলছিলেন, “জয়-পরাজয় নিয়ে কোনও চাপ নেই। কারণ আমরা বামপন্থী দলের কর্মীরা জানি, ফল যাই হোক আমাদের লড়াই করে বাঁচতে হবে।’’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘কর্মীদের ফোন করে বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতির খোঁজ নিচ্ছি। স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হবে। এ ভাবেই সারাদিন কেটে যাবে।”

Advertisement

সকাল থেকে সবং রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়েই সময় কাটিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী চিরঞ্জীব ভৌমিক। তিনি বলছিলেন, “আমার কোনও চাপ নেই। ভোট গণনাকেন্দ্রে কোন কর্মীরা যাবেন তা নিয়ে প্রস্তুতিতেই দিন কেটেছে।”

শনিবার দিনভর খড়্গপুরের প্রেমবাজারে বাড়িতেই ছিলেন সবংয়ের বিজেপি কর্মী অন্তরা ভট্টাচার্য। রোজদিনের কাজের পাশাপাশি শনিবার দিনভর কর্মীদের ফোন সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। অন্তরাদেবী বলছিলেন, “এ বার যে অশান্তির আবহে ভোট হয়েছে তাতে কতজন মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবছি না। সকাল থেকে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে, বাড়ির কাজ করেই দিন কাটছে।’’ লড়াই শেষে জয়ের মুকুট কার মাথায় উঠবে, তা জানা অবশ্য সময়ের অপেক্ষা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement