জলাতঙ্কের প্রতিষেধক অমিল, ভোগান্তি রোগীদের

স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁথি-৩ ব্লকের দুরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতালিয়া গ্রামে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ডেঙ্গি পরীক্ষার মেডিক্যাল কিটের পরে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক অমিল কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে!

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁথি-৩ ব্লকের দুরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতালিয়া গ্রামে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে। পাগলা কুকুরের কামড়ে কমপক্ষে আট জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এদের মধ্যে আসিক আলি (৪) এবং মতি আলি (৩) নামে দুই শিশু কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শিশু দু’টির পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে খড়িপুকুরিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে তাঁরা প্রতিষেধক পাননি। পরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে যেতে হয় তাঁদের। অন্য আহতদের অনেকেরই অভিযোগ, প্রতিষেধক নেই বলে তাঁদের মহকুমা হাসপাতাল থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিষেধক না পেয়ে বাড়িতে চলে গিয়েছেন ওই গ্রামের আরও পাঁচ-ছ’জন আক্রান্ত।

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে প্রতিষেধক নিতে গিয়েছিলেন কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত স্থানীয় এক ব্যক্তি। প্রতিষেধক না থাকায় তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement

হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত প্রতিষেধক থাকছে না কেন?

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, এ ধরনের প্রতিষেধক পাওয়ার জন্য অনলাইনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে আবেদন করতে হয়। অনুমোদন মিললে তমলুকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ‘জেলা সংরক্ষিত কক্ষ’ (ডিএসআর) থেকে প্রতিষেধক সরকারি হাসপাতালগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

কাঁথির ঘটনা প্রসঙ্গে ওই মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গত এক মাসের মধ্যে দু-বার প্রতিষেধকের জন্য রিকুইজিশন পাঠিয়েছিলাম। তার পরেও সপ্তাহ দুয়েক আগে সামান্যই প্রতিষেধধ এসেছিল। তা ফুরিয়ে যাওয়ার পরে এখনও নতুন প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি।’’ তবে এ জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল সূত্রের খবর।

প্রতিষেধকের ঘাটতি প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘কাঁথি হাসপাতালে কী কারণে প্রতিষেধকের সঙ্কট, তা জানি না। বিষয়টি নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক বলতে পারবেন।’’ নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, ‘‘জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে এ ধরনের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’’

স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কনিষ্ক পণ্ডার অবশ্য দাবি, ‘‘সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের অভাব নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী শনিবার কাঁথি ডরমেটরিতে আক্রান্ত রোগীদের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন বলে পরিবহণ মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement