মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।ফাইল চিত্র।
সিটি স্ক্যানের জন্য সকাল থেকে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকে। পরে তাঁদের শুনতে হল, এখন স্ক্যান হবে না। পরে যোগাযোগ করবেন! ঘটনাটি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, এ ভাবে কী স্ক্যান করাতে আসা রোগীদের ফেরানো যায়।
এ দিন রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল। পরে অবশ্য হাসপাতাল কর্তাদের নির্দেশে সিটি স্ক্যান শুরু হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডুর আশ্বাস, “এ ভাবে রোগীদের ফেরানো অনুচিত। ঠিক কী হয়েছে দেখছি। সত্যিই এমন কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পিপিপি মডেলের এক সংস্থা হাসপাতালের সিটি স্ক্যান পরিষেবা দেয়। ওই বেসরকারি সংস্থার কর্ণধার সমর দাসের বক্তব্য, “ভুল বোঝাবুঝির জন্য একটা সমস্যা হয়েছিল। পরে তা মিটেও গিয়েছে।” সংস্থার বক্তব্য, তাদের কাছে স্ক্যানের ফিল্ম খুব কম ছিল। এখন কোম্পানিগুলো ফিল্ম সরবরাহ করছে না। তাই যাঁদের খুব জরুরি, তাঁদের সিটি স্ক্যান আগে করা হচ্ছিল। যাঁদের তেমন জরুরি নয়, তাঁদের একটু অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছিল। ওই সংস্থার এক কর্মীর কথায়, “এর থেকেই সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।”
রোগীর পরিজনেদের অবশ্য দাবি, এ দিন তাঁদের হয়রান করা হয়েছে। রোগীর পরিজনেদের বক্তব্য, তাঁরা কর্মীদের বলতে শুনেছেন, ‘আমরা কোনও পেমেন্ট পাচ্ছি না। তাই স্ক্যান করব না।’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই কেন্দ্রের বিল বকেয়া ছিল। তবে ইতিমধ্যে তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিকের কথায়, “বিলের সঙ্গে রোগীর কী সম্পর্ক? এ ভাবে কোনও পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া যায় না।” মেদিনীপুর মেডিক্যালের এই কেন্দ্রে দিনে গড়ে ৫০-৬০জনের সিটি স্ক্যান হয়। চিকিৎসকেরা যাঁদের স্ক্যান করার কথা জানান, তাঁদেরই স্ক্যান করা হয়। এ দিন সকালে এই কেন্দ্রে আসা চণ্ডীচরণ দাস, বিশ্বজিৎ পাত্রদের কথায়, “স্ক্যান হবে না বলে জানানো হয়েছিল। তাই হাসপাতালে অভিযোগ জানাই।”