সেই মাকড়শা। নিজস্ব চিত্র
কালবৈশাখীর জেরে প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরমও। ফলে স্যাঁতস্যাতে পরিবেশের সুযোগে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে এক ধরনের বিষাক্ত রোমশ মাকড়সা। রবিবার রাতে দাঁতনের আঙ্গুয়া পঞ্চায়েতের তুকারুইতে দেখা গেল ট্যারান্টুলা প্রজাতির এই মাকড়সাটিকে।
এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক অমিত মালিক রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ তাঁর বাড়িতে মাকড়সাটিকে দেখতে পান। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়ায় পরিবারে। বিষাক্ত মাকড়সাটিকে দ্রুত কৌটো বন্দি করার চেষ্টা চলে। অমিতের কথায়, ‘‘এই মাকড়সাটি বিষাক্ত বলেই জানি। তাই ধরে রেখেছি। সোমবার সকালেই বন দফতরে খবর দিই।’’ জীব বিশেষজ্ঞদের মতো গরম ও বৃষ্টি একসঙ্গে দেখা দিতেই জঙ্গল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছে এই মাকড়সারা। সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে জায়গাই এদের পছন্দের। তাই বাড়ির ভিতরের পরিবেশেই থাকতে পছন্দ করে এরা। বন দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, রবিবার রাতে অমিতের বাড়িতে যে মাকড়সাটি পাওয়া গিয়েছে, সেটি ট্যারান্টুলা প্রজাতির।
শিক্ষকের কথায়, ‘‘বেলদা বন দফতর মাকড়সাটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দিতে বলে।’’ প্রসঙ্গত শুধু দাঁতনেই নয়, কয়েকদিন আগে কেশিয়াড়ির জয়কৃষ্ণপুরেও এই ধরনের মাকড়সা দেখা গিয়েছিল। ফলে এই মাকড়সাকে ঘিরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকায়। যদিও বন দফতরের আশ্বাস, এই ধরনের মাকড়সাকে ঘিরে আতঙ্কের কিছু নেই। দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মাকড়সা মানুষের শরীরের সংস্পর্শে না এলেই চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাই তাঁদের আবেদন— অযথা আতঙ্কিত না হয়ে, একটু সচেতন থাকলেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।