—ফাইল চিত্র।
দুর্গা থেকে কালী— সব পুজোতেই প্রভাব ফেলে করোনা। আদালতের নির্দেশে নমো নমো করে এ বার সারা হয়েছে পুজো। তাতে বাদ পড়ল না ছটও। জৌলুসহীন ভাবেই কোলাঘাটে রূপনারায়ণে, হলদিয়ায় হলদি নদীতে পুজোর সারলেন সকলে।
হলদিয়ায় টাউনশিপে হলদি নদীর সপ্তপর্ণীঘাটে প্রতি বছর ছট পুজো উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। তাঁদের সুবিধার্থে পুরসভার তরফে যেমন ব্যবস্থা করা হয়, তেমনই নদীঘাটে কার্যত বসে যায় ছোটখাটো মেলা। শুক্রবার অবশ্য ওই ঘাটের ছবিটা ছিল অচেনা। শদু’য়েক মানুষের জমায়েত হলে, তা অন্য বছরের তুলনায় কমই ছিল। এলাকায় মোতায়েন ছিল সিভিক ভলান্টিয়েরা। হলদিয়ার বাসুদেবপুর বড় পুকুর এবং আইটিআই পুকুরে ছট পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। দুটি জায়গাতেই পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারি ছিল। সামাজিক দূরত্ব বিধির প্রতি নজরদারি চালান হলদিয়ার মহকুমাশাসক। প্রশাসনের তরফে দুটি জায়গাতেই ছিল স্বাস্থ্য শিবির। কাঁথি শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু অবাঙালি পরিবার রয়েছে। তারা মূলত তাঁদের দোকান এবং বাড়িতে ছট পুজো করে থাকেন।
এ দিন বিকেলে কোলাঘাট, মেচেদা, পাঁশকুড়া, খড়্গপুর ইত্যাদি এলাকা থেকে গাড়িতে করে কোলাঘাটে রূপনারায়ণের পাড়ে আসেন অনেকে। ছটকে কেন্দ্র করে কোলাঘাট ব্লক প্রশাসনের তরফে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। যে সমস্ত ঘাটে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল সেই সমস্ত ঘাটে আগে থেকে প্রশাসনের তরফে বাঁশ ও দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। ঘাটের নামার মুখে অস্থায়ী রাস্তা করে দেওয়া হয়। নৌকোতেও টহলদারি চালানো হয়। অন্যবারের মতো এবার ফাটেনি বাজি। তবে অধিকাংশ পুণ্যার্থীর মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক।
খড়্গপুরের ইন্দা থেকে কোলাঘাটে ছট পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন সুবোধ শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তিনটি পরিবার একটি গাড়ি ভাড়া করে এসেছি। করোনার জন্য এবার বাড়ির ছোটদের আনা হয়নি।’’ পাঁশকুড়ার সঞ্জীব যাদব বলেন, ‘‘করোনার জন্য এবার কিছুটা জৌলুস শূন্য ভাবেই আমরা পুজো করলাম। তবে আচার ও রীতিনীতি পালনে কোনও কাটছাঁট করা হয়নি।’’ কোলাঘাটের বিডিও মদন মণ্ডল বলেন, ‘‘ছট পুজো উপলক্ষে রূপনারায়ণের পাড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল। আপাতত নদে কোনও দূষণের চিহ্ন নেই।’’