Congress

জোট নয়! পশ্চিমে লড়াই একা ‘হাতে’

এক সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রভাব ছিল কংগ্রেসের। এখন জেলায় দলের সংগঠন দুর্বল। তাও পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। জেলাস্তরে নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৬
Share:

একা লড়বে কংগ্রেস। প্রতীকী চিত্র।

সব ঠিক থাকলে মে মাসে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে বলে অনুমান। পঞ্চায়েতে বাম, কংগ্রেসের জোট হবে কি না, রাজ্যস্তরে এখনও ঠিক হয়নি। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস জানাচ্ছে, তারা বামেদের সঙ্গে জোটে যাবে না! পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে নির্বাচনী কমিটিওগড়েছে তারা।

Advertisement

জেলা কংগ্রেস সভাপতি সমীর রায়ের ঘোষণা, ‘‘পঞ্চায়েতে কংগ্রেস একা লড়ছে। আমাদের জেলায় আমরা সবক’টা জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী দেব। সব পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করব।’’ কেন বামেদের সঙ্গে জোটে যাচ্ছেন না? সমীরের জবাব, ‘‘বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে তৃণমূলটা ভাঙছে। আজকে যদি সিপিএমের সঙ্গে যাই, তাহলে তৃণমূল ভেঙে কেউ আমার কাছে আসবে না। বিজেপিতে চলে যাবে। তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যাওয়াটা রোখা উচিত।’’ কিন্তু বাম, কংগ্রেসের জোট তো গত কয়েক বছর ধরেই নানা নির্বাচনে হয়ে চলেছে? জেলা কংগ্রেস সভাপতি শোনাচ্ছেন, ‘‘সময়ের প্রয়োজনে সমঝোতা করতে হয়েছিল।’’

এক সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রভাব ছিল কংগ্রেসের। এখন জেলায় দলের সংগঠন দুর্বল। তাও পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। জেলাস্তরে নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৭ জনের কমিটি গড়া হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘এই কমিটির প্রাথমিক কাজ হবে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা। ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলে, আলোচনা করে, সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করা।’’ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবশ্য জেলায় তেমন দাগই কাটতে পারেনি কংগ্রেস। গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩,০৪০টি আসন ছিল। এর মধ্যে ২,২২৪টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। কংগ্রেসও বেশ কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। পেয়েছিল মাত্র ৪টি আসন। সিপিএম পেয়েছিল৮৮টি আসন।

Advertisement

জেলা কংগ্রেসের ঘোষণা, তারা একলা চলবে। বামেরা অবশ্য সাবধানী। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘জেলা কংগ্রেসের নেতারা কী বললেন, আমি তার উত্তর দেব না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি হবে না, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার আমাদের পার্টির ক্ষেত্রে রাজ্য নেতৃত্ব, রাজ্য কমিটি। রাজ্যস্তরে যা সিদ্ধান্ত হবে, সেটাকেই আমরা জেলাস্তরে মান্যতা দেব।’’

তৃণমূল ভাঙছে, দাবি কংগ্রেসের। সত্যিই কি তাই? তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের অন্য কোনও দলে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। মতভেদ থাকলেও তারা তৃণমূলেই থাকবে। তৃণমূলে থেকেই মতভেদ দূর করবে। ভোটটা তৃণমূলকেই দেবে।’’ পঞ্চায়েতে কংগ্রেস তো একটা লড়বে বলে জানাচ্ছে? বিজেপির রাজ্য সহ- সভাপতি শমিত দাশের খোঁচা, ‘‘জেলায় কংগ্রেস আর আছে কোথায়? দলটা তো সাইনবোর্ডে পরিণত হয়ে গিয়েছে! একা লড়ুক কিংবা জোটে লড়ুক, ওদের নিয়ে আমাদের এতটুকুও মাথাব্যথা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement