প্রতীকী ছবি।
পুজোর আগেই ঝাড়গ্রাম জেলায় চালু হচ্ছে ‘টেন্ট ট্যুরিজম’। প্রকৃতির মাঝে তাঁবুতে রাত্রিবাসের সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। এই প্রথম গ্রামীণ পরিবেশে বাতানুকূল তাঁবুতে থাকার সুযোগও মিলবে ঝাড়গ্রামে।
বেসরকারি এই উদ্যোগের প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে পর্যটন দফতর স্বীকৃত ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম। সংস্থার কর্তা সুমিত দত্ত জানাচ্ছেন, ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে নকাট গ্রামে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারের অনুমোদিত ‘চেতনা ইকো ভিলেজ হোম স্টে’ চত্বরে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে মহাপঞ্চমীর দিন থেকে। তিনটি তাঁবুতে ছ’জন থাকতে পারবেন। ঝাড়গ্রামের উপকন্ঠে গড়শালবনির আরণ্যক রিসর্টেও পাঁচটি বাতানুকূল তাঁবুও চালু হচ্ছে মহাপঞ্চমীতে। সেখানেও প্রতিটি তাঁবুতে তিনজন করে থাকতে পারবেন। দু’টি জায়গাতেই তাঁবুর সঙ্গে ‘অ্যাটাচড বাথরুম’ রয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজমের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন বুকিং করা যাবে। পুজোর পরে স্পট বুকিংও করা যাবে। তাঁবুতে ঢোকার আগে পর্যটকদের থার্মাল স্ক্রিনিং হবে।
গত বছর বেলপাহাড়ি রেঞ্জ অফিস চত্বরে চারটে সরকারি তাঁবুতে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে ওই তাঁবুগুলি এখন বন্ধ। তবে আনলক পর্বে ঝাড়গ্রামে তত পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। সেই কথা মাথায় রেখেই ‘টেন্ট ট্যুরিজমে’র ভাবনা। নকাট গ্রামের চেতনা ইকো ভিলেজ হোম স্টে-র কর্ণধার শুভাশিস দেবসিংহ বলেন, ‘‘সেপ্টেম্বর থেকেই প্রতি উইকএন্ডে হোম স্টে-র সব ঘর ভর্তি থাকছে। বাড়তি আকর্ষণের জন্য তিনটি তাঁবু চালু করা হয়েছে। শীতের মধ্যেই তাঁবুর সংখ্যা বাড়ানো হবে।’’ গড়শালবনির আরণ্যক রিসর্টের মালিক রাজেশ মাহাতো জানান, তাঁবুর আশপাশে যাতে হাতির দল আসতে না পারে তাই চারপাশে পরিখা খোঁড়া হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজমের কর্তা সুমিত জানান, নকাটের তাঁবুতে থাকা ও খাওয়া বাবদ জনপ্রতি দৈনিক ভাড়া ১,৪৭০ টাকা। গড়শালবনির বাতানুকূল একটি তাঁবুর (তিনজন থাকতে পারবেন) দৈনিক ভাড়া ৩,২০০ টাকা। সঙ্গে তিনজনের কমপ্লিমেন্টরি ব্রেকফাস্ট। বাদবাকি খাওয়ার খরচ অতিরিক্ত। জঙ্গলমহলে হাতিদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে দু’টি জায়গাতেই উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। দু’টি জায়গাতেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এলাকাবাসীরা যুক্ত রয়েছেন। ‘টেন্ট ট্যুরিজম’ চালু হওয়ায় করোনা কালে তাঁরাও বেশি করে উপকৃত হবেন।
6