প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজোর প্রস্তুতির বৈঠক চলাকালীন কমিটির সদস্যদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালালো দুষ্কৃতীরা। হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন পুজো কমিটির সহ-সভাপতি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার রাতে ভগবানপুর থানার গোপীনাথপুর বাজারে এই হামলায় ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপীনাথপুর বাজারে গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। বাজারের দোকানদার সহ স্থানীয় যুবকেরা দলমত নির্বিশেষে এই পুজো কমিটিতে রয়েছে।সামনে দুর্গাপুজো। করোনা পরিস্থিতিতে জাঁকজমকহীন পুজোর আয়োজন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে রবিবার কমিটির সভা ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ, রবিবার গোপীনাথপুর হাইস্কুলে রাত আটটা নাগাত সভা চলাকালীন আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী হাতে তরোয়াল নিয়ে সেখানে হামলা চালায়।
দুষ্কৃতীদের তান্ডবে সভা থেকে কমিটির অন্য সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারলেও দুষ্কৃতীদের কবলে পড়ে যান পুজো কমিটির সহ-সভাপতি শুভেন্দুবিকাশ চন্দ্র। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায় কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ফেলে তাঁকে প্রচণ্ড মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় লোকজনের চেঁচামেচিতে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুভেন্দুবিকাশকে ভগবানপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
কী কারণে দুষ্কৃতীরা পুজো কমিটির সহ সভাপতি উপর হামলা চালালো সেই বিষয়ে সন্দিহান কমিটির অন্য সদস্যরা। ঘটনার রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে গোপীনাথপুর বাজারে এক দোকানদারকে দুষ্কৃতীরা একই ভাবে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। রবিবার রাতে ফের বাজারে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলায় আতঙ্কে বাজারের দোকানদার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাজারে বার বার দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকার মানুষ। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
শুভেন্দুবিকাশের অভিযোগ, ‘‘পুজো বন্ধ করার উদ্দেশ্যে পুজো কমিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে দুষ্কৃতীরা এ ভাবে আমাদের উপর হামলা চালাবে বুঝতে পারিনি। পুলিশের কাছে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।’’ ভগবানপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।