ফাইল চিত্র।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরেও নারায়ণগড় ছিল সিপিএমের দখলে। ২০১৬ সালে রাজ্যে দ্বিতীয় বার ক্ষমতা দখলের সঙ্গে নারায়ণগড়েও জেতে তৃণমূল। সে বার বিধানসভা নির্বাচনের পরে প্রথম সভা নারায়ণগড়েই করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালের ১৩ জুন মকরামপুরের সেই সভায় নারায়ণগড়ে সরকারি কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জোড়া ঘোষণা করেন তিনি। কথা ছিল দু’টি কাজই দু’বছরের মধ্যে হবে। কিন্তু হয়নি।
ভদ্রকালী এলাকায় সরকারি কলেজ কয়েক মাস আগে উদ্বোধন হয়েছে। আর বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালের চত্বরে সুপার স্পেশালিটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সুপার স্পেশালিটির কাজ গত একমাস ধরে প্রায় বন্ধ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মণ্ডল মানছেন, ‘‘এখন কাজ বন্ধ আছে। কবে চালু হবে জানা নেই।’’
আজ, সোমবার মেদিনীপুর শহরে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে মকরামপুরের সেই সভায় তাঁর ঘোষণার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। বিজেপির নারায়ণগড় মধ্য মণ্ডলের সভাপতি শুভাশিস মহাপাত্রের দাবি, ‘‘এই সরকার অনেক প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু পালন করে না। ’’
মাসখানেক আগেও মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করেন। সেখানে বেলদাতে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের কথা উঠলেও হাসপাতালের কথা ওঠেনি। দেউলির বাসিন্দা দেবকুমার ভুঁইয়া বলছেন, ‘‘ঘোষণার কয়েকমাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজ ঢিমেতালে চলছে। বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ কবে পরিষেবা পাবেন?’’ বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে তেমন কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। বেশিরভাগ সময়ে ভাল পরিষেবা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বেলদার বাসিন্দা স্বপন ঘোষ, অশোক চন্দদের ক্ষোভ, ‘‘কেন দেরি হচ্ছে জানি না। ব্লকের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তো আছেই।’’
নারায়ণগড়ের বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষের অবশ্য আশ্বাস, ‘‘এজেন্সিকে নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। ফের নতুন এজেন্সি বরাত পেয়ে কাজ শুরু করবে। আশা করা যায় আগামী দুমাসের মধ্যে এখান থেকে পরিষেবা মিলবে।’’