উদ্ধার হওয়া মাদকের একাংশ। নিজস্ব চিত্র
ঘাটাল থানার থাবাপুর থেকে উদ্ধার হল ব্রাউন সুগার ও গাঁজা। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘাটালে ব্রাউন সুগার উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম। মঙ্গলবার রাতের ওই অভিযানে যাকে ধরা হয়েছে তার নাম বাপ্পা মণ্ডল। ওই চক্রের মূল মাথা বাহাদুর মল্লিকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বুধবার বাপ্পাকে মেদিনীপুরে স্পেশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তার দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকমাস ধরেই থাবাপুর গ্রামে কার্যত প্রকাশ্যে ব্রাউন সুগার, গাঁজা বিক্রির কারবার চলছিল। বাপ্পা এবং বাহাদুরের বাড়ি ওই থাবাপুর গ্রামেই। মূলত বাহাদুরের বাড়িতেই ওই মাদকের ঠেক চলত। সেখানে মাদক সেবন ও অন্যত্র পাচারও চলত। তবে কোথা থেকে ওই মাদক ঘাটালে ঢুকত, তা এখনও জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুরনো বাড়ি ছেড়ে গ্রামেই অন্যত্র বসবাস শুরু করেছিল বাহাদুর। সেই বাড়িতেই ঠেক চলত। প্রথমে বিষয়টি জানাজানি না হলেও সেখানে যুবকদের নিয়মিত আনাগোনা স্থানীয়দের নজরে পড়ে। সম্প্রতি এই নিয়ে গ্রামে বৈঠক হয়। তারপরেই বিষয়টি জানাজানি হয়। বিষয়টি পুলিশের কানে যায়। মঙ্গলবার রাতে ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নিশ্বর চৌধুরী, ওসি দেবাংশু ভৌমিকের নেতৃত্বে সেখানেই অভিযান হয়। পুলিশ গ্রামে ঢুকতেই বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয় বাহাদুর। বাপ্পাকে পাকড়াও করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তখনই উদ্ধার হয় ১২০ প্যাকেট ব্রাউন সুগার। যা বিভিন্ন প্লাস্টিকে রঙিন কাগজে মোড়া ছিল। একই ভাবে কাগজে মোড়া ছিল গাঁজাও। সব মিলিয়ে ওই ঘর থেকে ২২ গ্রাম ব্রাউন সুগার এবং ৩৬ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, আরও ব্রাউন সুগার ও গাঁজা রয়েছে ওই চক্রের কাছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে ও কতদিন ধরে এই কারবার চলছে সেটা জানতে অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। বাহাদুরের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তার খোঁজও চলছে। মঙ্গলবার রাতেই এই ঘটনায় ‘এনডিপিএস অ্যাক্টে’ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে পুলিশ। ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মূল চক্রীর খোঁজ চলছে।”