সীমান্ত পাল নামে ওই অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। নিজস্ব চিত্র।
দোকানে চা খেতে এসেছিলেন যুবক। চা দিতে বলেন দোকানদারকে। কিন্তু বলার সঙ্গে সঙ্গেই কেন চা দেওয়া হল না, তা নিয়ে রেগে গিয়ে দোকানদারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ওই ক্রেতা খুন করেন বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শঙ্করখালি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় দোকানদার কুশধ্বজ সামন্তকে কোলাঘাট পাইকপাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরে সীমান্ত পাল নামে ওই অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দোকানে আসেন সীমান্ত। সেই সময় বাইরে বেঞ্চে বসে ছিলেন কুশধ্বজ। সীমান্ত চা দিতে বললে কুশধ্বজের স্ত্রী ভিতরে চা গরম করতে যান। অভিযোগ, চা দিতে বলার পরেও কেন সঙ্গে সঙ্গে চা দেওয়া হল না, তা নিয়ে দোকানে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন সীমান্ত। সেই বচসা চরমে উঠলে রাগের মাথায় কুশধ্বজের উপর হামলা চালান সীমান্ত। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাতাহাতির মধ্যেই কোমরে থাকা ছুরি বার করে কুশধ্বজের পেটে চালিয়ে দিয়েছেন সীমান্ত। এর পরেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দোকানদার। এই ঘটনার পর সীমান্ত পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে স্থানীয়েরা ধরে ফেলেন।
স্থানীয়দের বিরুদ্ধেও অভিযুক্তকে একটি বাড়িতে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় উত্তেজনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিছু ক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তারা অভিযুক্তকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়। সীমান্তের মা জানান, তাঁর ছেলে আগেও একজনের উপর এই ভাবে হামলা চালিয়ে জেল খেটেছেন। ছেলের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘এই অবস্থায় ওকে যেন কোনও ভাবে জেল থেকে ছাড়া না হয়।’’