গ্রামে গ্রামে চলছে প্রচার। হচ্ছে বোঝানোও। নিজস্ব চিত্র
আদিবাসীদের চিরাচরিত শিকার উৎসব শুরু হয়েছে। সেখানে বন্যপ্রাণী হত্যা আটকাতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সচেতনতা প্রচার করছে বন দফতর। গড়বেতা ও গোয়ালতোড়ের জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা আদিবাসীদের শিকার করতে নিষেধ করছেন।
বন দফতরের গড়বেতা, আমলাগোড়া, হুমগড়, মাহালিসাই, গোয়ালতোড় রেঞ্জ এলাকার বন কর্মীরা এখন প্রায় প্রতিদিনই দলবল নিয়ে আদিবাসী অধ্যুষিত ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। বন্যপ্রাণী হত্যা করলে কী কী আইনের ধারায় শাস্তি হতে পারে তা উল্লেখ করে বোঝাচ্ছেন। বন্যপ্রাণী শিকার না করে শুধু প্রথা মেনে শিকার উৎসবে যাওয়ার অনুরোধ করছেন তাঁরা।
গড়বেতার একাধিক গ্রামে এই কর্মসূচি চলছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার রেঞ্জার চঞ্চল গোস্বামী। আমলাগোড়া রেঞ্জের মাগুরাশোল, তাঁতিচুয়া, কুড়চিডাঙা এবং হুমগড় রেঞ্জের পাথরমারি, কাড়াশোল, ঢেকিনাজা, কেশিয়া, বেনাচাপড়া, আসনাশুলি-সহ ১০-১২টি গ্রামে গিয়েও একই অনুরোধ করা হচ্ছে। আমলাগোড়া ও হুমগড়ের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জার বাবলু মাণ্ডি বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করছি। আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেকেই কথা শুনছেন। তাঁরা বন্যপ্রাণী শিকার করবেন না বলে জানাচ্ছেন। মাইকেও প্রচার করা হবে।’’ গোয়ালতোড়ের বেলবনি, মোহনপুর, ধরমপুর, কদমডিহা প্রভৃতি এলাকায় ইতিমধ্যেই মাইক প্রচার করেছে বন দফতর। গোয়ালতোড়ের রেঞ্জার খুরশিদ আলম জানান, গ্রামে গ্রামে বৈঠক করা হচ্ছে। সেখানে শিকার উৎসবে বন্যপ্রাণী হত্যা না করতে বলা হচ্ছে। সাড়াও মিলছে।
সঙ্গে থাকছে পুলিশও। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বন্যপ্রাণী হত্যা আইনত অপরাধ। শিকার উৎসবের আগে সেটাই মানুষকে বোঝানো হচ্ছে।’’