কাটমানি কাণ্ডে নিশানায় তৃণমূল

টাকা ফেরত চেয়ে বিডিওর কাছে দরবার

অভিযোগ উঠেছে, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে বাংলা আবাস যোজনায় দুর্নীতি করছেন মেঘনাদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ০৩:২৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

জমি আন্দোলনের ‘আঁতুড়ঘর’ নন্দীগ্রামেই ‘কাটমানি-কাণ্ডে’ ধাক্কা খেল তৃণমূল। এত দিন এই নন্দীগ্রাম-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে পোস্টার-ব্যানার পড়েছে। সমালোচনা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এবার জেলায় প্রথমবার কাটমানি ফেরত চেয়ে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হল বিডিও’র কাছে।

Advertisement

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীগৌরীর বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত পাল নামে এক ব্যক্তি উপ-প্রধান তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পালের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বিডিও’র কাছে। এলাকায় পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে গত ১৬ জুলাই ওই অভিযোগ জমা পড়ার পর শোরগোল পড়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে বাংলা আবাস যোজনায় দুর্নীতি করছেন মেঘনাদ। ওই প্রকল্পে শ্রীগৌরী গ্রামে ছ’জনের নাম অনুমোদন করেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। গৃহ নির্মাণের জন্য এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে মজুরি বাবদ ১০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল উপভোক্তাদের। লক্ষ্মীকান্তের অভিযোগ, গৃহ নির্মাণের জন্য তাঁর ব্যাঙ্ক আক্যাউন্টে ৮০ হাজার টাকা জমা পড়েছিল। বাকি ৪০ হাজার টাকা এখনও মেলেনি। একাধিকবার প্রাপ্য টাকার দাবিতে উপ-প্রধান মেঘনাদের দ্বারস্থ হয়েও ফল মেলেনি।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগকারী লক্ষীকান্তকে শুক্রবার ব্লক অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে এ দিন তিনি হাজির হননি। লক্ষ্মীকান্তের দাবি, ‘‘শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি।’’

তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে পার্টি করি। কারও কাছ থেকে কখনও এ ধরনের অর্থ নিইনি।’’ তাঁর অভিযোগ, তাঁর চরিত্র হননের জন্যই এই অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও কথা জানিয়েছেন। যদিও, বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিডিও সুব্রত মল্লিক।

মেঘনাদের বিরুদ্ধে কাটমানি ফেরতের দাবি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি (তমলুক) নবারুণ নায়েকের দাবি, ‘‘জনগণ শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহস পেয়ে গিয়েছে। এ বার থানায় গিয়ে ওঁদের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো কারও বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ থাকলে, প্রমাণ-সহ প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ করা যেতেই পারে। এতে দল হস্তক্ষেপ করবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement