—ফাইল চিত্র।
আগেই জেলার উন্নয়নমূলক কাজকর্মের খতিয়ান তলব করেছিল রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্ন। নির্দেশ মতো জেলা থেকে সেই খতিয়ান পাঠানোও হয়েছিল। ফের খতিয়ান তলব। জেলার নয়, এ বার একেবারে ব্লকভিত্তিক উন্নয়নমূলক কাজকর্মের খতিয়ান তলব করেছে নবান্ন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ব্লকগুলির গত ন’বছরের (তৃণমূল আমলের) খতিয়ান তলব করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে মূলত পরিকাঠামোগত উন্নয়নেরই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ২০১১ থেকে এখনও পর্যন্ত- এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন কী কী পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে, কী কী পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন হয়েছে, সে সবই জানাতে হবে। ব্লকগুলিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, লক্ষ্য বিধানসভা ভোটই। তার আগে ব্লক ধরে ধরে উন্নয়নের খতিয়ান সামনে এনে প্রচার করা হতে পারে। সমাজমাধ্যমেও প্রচার করা হতে পারে। একাধিক মহল মনে করছে, নির্বাচনের আগে উন্নয়নের খতিয়ান ছাপানোও হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছে, এই সময়ের মধ্যে ব্লকস্তরে উন্নয়নের কাজ কতটা হয়েছে তা বিশদে দেখে নিতে চাইছে নবান্ন।
প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ব্লকভিত্তিক নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রের উন্নয়নের ফিরিস্তি চাওয়া হয়েছে। কোন ক্ষেত্রে কতগুলি প্রকল্পের কাজ হয়েছে, সে সবের নাম এবং প্রকল্পগুলি কোথায় কোথায় হয়েছে, সে সব জানাতে হবে। জানাতে হবে নতুন স্কুল- কলেজ, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব, কিসান মান্ডি, হিমঘর, কর্মতীর্থ, শিল্পতালুক, উড়ালপুল, সেতু, বাংলা আবাস যোজনার ঘর, পানীয় জল প্রকল্প, পর্যটনকেন্দ্র, পথসাথী, যুব আবাস, দমকল কেন্দ্র প্রভৃতি কোন ব্লকে কতগুলি হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নিশ্চয়ই কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের খোঁচা, ‘‘হতে পারে নির্বাচনের আগে মানুষকে আবার বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হবে। রং চড়িয়ে প্রচার করা হবে!’’ জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন সময়েই জেলার উন্নয়নের খতিয়ান চাওয়া হয়। খতিয়ান চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ মতো পদক্ষেপ হচ্ছে।’’