সাতসকালে গাড়ু হাতে রেল লাইনের ধারে, দ্বারিবাঁধ খালে, পুকুর পাড়ে শৌচকর্ম সারার দিন শেষ হতে চলেছে। ভোটের আলো ফোটার আগেই এ বার মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেবেন পুরকর্মীরা। বাড়িতেই শৌচকর্ম সারার আবেদনও জানাবেন তাঁরা। শুক্রবার ও শনিবার অভিযান চলবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
বাড়ির শৌচাগার ব্যবহার করার অভ্যাস তৈরি করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। যদি বাড়িতে শৌচাগার না থাকে? আশপাশেই রয়েছে সুলভ শৌচাগার। সেখানে যান। শীঘ্রই সরকার শৌচাগার তৈরি করে দেবে। তা ব্যবহারের অভ্যাস তৈরি করুন। এক পুর কর্তার কথায়, ‘‘শহরে কারও জন্য যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি না হয়, সেটা দেখা হবে। শহর জুড়ে ঘুরবে ট্যাবলো। চলবে মাইকের মাধ্যমে প্রচারও।’’
পুরসভা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় খোলা জায়গায় শৌচকর্ম নিত্যদিনের ঘটনা। বেশ কয়েকটি জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে রেললাইন তেমনই দ্বারিবাঁধ খালও রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে জেলা দায়রা ও বিচারকের বাংলোর পিছনের পুকুর পাড়ের মতো এলাকাও।
প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে শুরু হবে অভিযান। চলবে সকাল ৮টা পর্যন্ত। এই কাজে কতটা সাফল্য মিলবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, মেদিনীপুর পুর এলাকার সমস্ত বাড়িতে এখনও শৌচাগার নেই! সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরসভা এলাকার ৫০২২টি বাড়ি শৌচাগারহীন। ৩০৫টি বাড়িতে যে শৌচাগার রয়েছে তা অস্বাস্থ্যকর। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগে বাড়ি তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পুর এলাকায় কোনও কাঁচা বাড়ি থাকবে না। বাড়ির সঙ্গে তৈরি করা হবে শৌচাগারও। সরকার অর্থ বরাদ্দ করলে আগেই শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হবে।
জিতেন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “শৌচাগারহীন বাড়ির কথা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলে শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অস্বাস্থ্যকর শৌচাগারের ক্ষেত্রে কী করা হবে সে সম্বন্ধে আলাদা কোনও নির্দেশিকা নেই। সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিককে শৌচাগার স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে গড়ে তোলার জন্য চিঠি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।”