অর্ধেন্দু মাইতি। নিজস্ব চিত্র।
আবারও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কমিটিতে রদবদল করল রাজ্য সরকার। নতুন কমিটিতে উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদে এলেন ভগবানপুরের তৃণমূল বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ফোন করে তাঁকে এই দায়িত্বের কথা জানানো হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত চিঠি ইতিমধ্যে উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে এসে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন অর্ধেন্দু।
শনি ও রবিবার উন্নয়ন পর্ষদের অফিস ছুটি থাকায় সোমবারই তিনি সরকারি ভাবে উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে অর্ধেন্দু জানিয়েছেন। তবে এই কমিটিতে আর কী কী রদবদল হয়েছে সেই বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই বলেই আনন্দবাজার ডিজিটালকে জাইয়েছেন অর্ধেন্দু।
তবে সূত্রের খবর, উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে নন্দীগ্রামের শহিদ মাতা এবং পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিধায়ক ফিরোজা বিবিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যপদে থাকা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুর পদে পরিবর্তন হয়েছে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ওয়েবসাইটে এখনও পুরানো তালিকাই শোভা পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওইদিন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি পাঠিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এর পর গত ১০ ডিসেম্বর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, অর্ধেন্দু মাইতি দীর্ঘদিন ধরেই অধিকারী পরিবার বিশেষ করে শিশির অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তৃণমূলের জেলা সভাপতি হিসেবে শিশির অধিকারীর পাশে থেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ সভা-সমিতির গুরুদায়িত্ব তিনিই সামলেছেন এত দিন। এখন শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তিনি নিজের দূরত্ব বাড়িয়ে নেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচতি রয়েছে তাঁর। এহেন অর্ধেন্দুকে দায়িত্বে এনে অধিকারী পরিবারকেই কিছুটা চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।