কবির পাশে বাংলা বিভাগ

জঙ্গলমহলের লোককবি ভবতোষ শতপথীকে আর্থিক সাহায্য তুলে দিল মেদিনীপুর কলেজের বাংলা বিভাগ। রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের সত্যবানপল্লী এলাকায় কবির বাড়ি গিয়ে শয্যাশায়ী ভবতোষবাবুর হাতে ১১,৩২০ টাকা তুলে দেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ফটিক ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০৭
Share:

জঙ্গলমহলের লোককবি ভবতোষ শতপথীকে আর্থিক সাহায্য তুলে দিল মেদিনীপুর কলেজের বাংলা বিভাগ।

Advertisement

রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের সত্যবানপল্লী এলাকায় কবির বাড়ি গিয়ে শয্যাশায়ী ভবতোষবাবুর হাতে ১১,৩২০ টাকা তুলে দেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ফটিক ঘোষ।

গত ছয় দশক ধরে বাংলা কাব্য সা঩হিত্যের পাশাপাশি জঙ্গলমহলের প্রচলিত আঞ্চলিক কুড়মালি ভাষায় অজস্র কবিতা রচনা করেছেন ভবতোষবাবু। সব মিলিয়ে তাঁর কবিতার সংখ্যা তিন হাজার। দু’টি কবিতা ঝাড়খণ্ডের রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য তালিকায় রয়েছে। স্বশাসিত মেদিনীপুর কলেজের পাঠক্রমেও তাঁর লেখা বই রয়েছে।

Advertisement

শুধু তাই নয়, নব্বইয়ের দশকে আঞ্চলিক কুড়মালি ভাষায় রবীন্দ্রনাথের ‘চণ্ডালিকা’র ভাষান্তর করেছিলেন তিনি। বাম আমলে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের নথিভুক্ত দুঃস্থ সাংস্কৃতিক কর্মী হিসাবে প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা করে সরকারি পেনশন পেতেন ভবতোষবাবু। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের পরে লোককবির ওই মাসিক ভাতা বন্ধ করে দেয় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর।

অথচ ঝাড়গ্রাম মহকুমায় লোকপ্রসার প্রকল্পে মাসিক সরকারি ভাতা পাচ্ছেন চার হাজারেরও বেশি লোকশিল্পী ও গীতিকার। এখন কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বর্ষীয়ান কবি। কথাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁর। সারা শরীরে রোগের ক্ষত।

অধ্যাপক ফটিক ঘোষ বলেন, ‘‘জীবনের আদর্শ কখনও ভোলেননি কবি। তা কবিতায় হোক বা এই শেষ জীবনে। কারও কাছে মাথা নত করেনি। তোষামোদ করলে হয়তো সরকারি পেনশন চালু হত।’’ আগামী দিনেও কবির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ফটিকবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement