প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহখানেক আগেই শহরে চালু হয়েছিল করোনা হাসপাতাল। কিন্তু জেলায় যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে কাঁথিতে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় আয়ুর্বেদ কলেজে ১০০ শয্যার আর একটি করোনা হাসপাতাল চালু করল জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকে ওই হাসপাতালে আট জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, ‘‘কাঁথিতে আগে একটি কোভিড চিকিৎসার হাসপাতাল ছিল। এ দিন থেকে সেখানে একটি আয়ুর্বেদ কলেজে ১০০ শয্যার নতুন হাসপাতাল চালু করা হল। এদিন ওই হাসপাতালে রোগী ভর্তির খবর মিলেছে।’’ এ দিন কাঁথিতে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চার জন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিন জন, এছাড়াও ৫, ৮, ১৬, ১৮, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
এ দিকে, তমলুক শহরে আগামী ১০ অগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত একটানা পাঁচদিনের সম্পূর্ণ লকডাউন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল তমলুক পুরসভা। বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক, পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শহরের ব্যসবায়ী সংগঠন ও ক্লাব কর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পরে ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার পুরসভা কর্তৃপক্ষ ওই পাঁচ দিনের লকডাউন প্রত্যাহার করেছেন। পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ১০ অগস্ট থেকে ১৪ অগস্টের লকডাউনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পুরসভার বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে রাজ্য সরকারের ঘোষিত দিনগুলিতে লকডাউন কার্যকর হবে।’’