দুর্ঘটনার দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী-সহ পরিবারের চার সদস্য। বুধবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের ফাঁসিতলা এলাকায়। চার জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জখম ওই চিকিৎসক মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। বুধবার রাতে পরিবারের সঙ্গে খড়্গপুরে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। ঝাড়গ্রামের ফাঁসিতলায় ৬ নং জাতীয় সড়কের উপর পিছন থেকে একটি মালবাহী ট্রাক তাঁদের গাড়িতে এসে ধাক্কা মারে। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। ওই ছাত্রী, তাঁর বাবা, মা এবং বোন গাড়ির ভিতরেই আটকে পড়েন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। পুলিশের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় শেষে গ্যাসকাটার দিয়ে গাড়ির দরজা কেটে আহতদের গাড়ির ভিতর থেকে বার করা গিয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে আহতদের ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এখনও সেখানেই ভর্তি তাঁরা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত রাউত জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোমর থেকে নিচের অংশে গুরুতর আঘাত রয়েছে তাঁর। একই রকম অবস্থা তাঁর মা এবং বোনেরও।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে রাজ্য জুড়ে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। পুলিশকর্তার পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। আরও নানা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন তাঁরা। তার মাঝেই পুলিশের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল এক চিকিৎসক ও তাঁর পরিবারের।