মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রের অপমৃত্যু ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। সেই মৃত্যুতে জোরালো হচ্ছে র্যাগিং তত্ত্ব। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজও চর্চা সেই র্যাগিং নিয়েই। দিন কয়েক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ‘অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি’র বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে চর্চা। সূত্রের খবর, এক পড়ুয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই না কি ওই বৈঠক। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি রুটিন বৈঠক।
বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমেও লেখালেখি হচ্ছে। জনৈক একজন দাবি করেছেন, ‘মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের ওপরে র্যাগিং হচ্ছে বলে সে চিঠিতে জানিয়েছে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ দোষ ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে।’ সূত্রের খবর, ওই ছাত্র কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাননি। নিজের পরিচয় গোপন রেখে তিনি না কি নালিশ ঠুকেছেন মেডিক্যাল কলেজগুলির সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া- র (এমসিআই) কাছে। তা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি মেডিক্যালে ওই বৈঠক হয়েছে। অভিযোগকারী ছাত্র নিজের নাম গোপন রাখার পাশাপাশি অভিযুক্ত হিসেবে নির্দিষ্ট কারও নামোল্লেখও করেননি। তাঁর না কি শুধু নালিশ, সিনিয়রদের একাংশ হস্টেলের ছাদে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ডেকে দুর্ব্যবহার করেছেন।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে র্যাগিংয়ের অভিযোগ নতুন নয়। বেশ কয়েক বছর আগে এমন অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য এমন কোনও অভিযোগ সামনে আসেনি। সূত্রের খবর, কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে সিনিয়র, জুনিয়র সকলেই জানিয়েছেন, দুর্ব্যবহারের ঘটনা তাঁদের জানা নেই। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষা মৌসুমী নন্দী বলেন, ‘‘র্যাগিংয়ের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির রুটিন বৈঠক হয়েছে।’’ তবে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি মেডিক্যালের উপাধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত। মেডিক্যালের অন্য এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘আগে কী হয়েছে জানি না। তবে এখন এখানকার ক্যাম্পাস র্যাগিং মুক্ত, এটা বলতে পারি। এখানে পড়ুয়াদের সমস্যা বুঝতে নিয়মিত কাউন্সেলিং করা হয়।’’