—প্রতীকী চিত্র।
নতুন করে আরও কুষ্ঠ রোগীর খোঁজ মিলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। আর উদ্বেগজনক ভাবে তাদের একটা বড় অংশ মহিলা, রয়েছে শিশুরাও।
জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরেই জেলায় নতুন করে ১৫৩ জন কুষ্ঠ রোগীর খোঁজ মেলে। এখন জেলায় কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা ৪৬৬। সকলেই চিকিৎসাধীন। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন করে যে ৩৭০ জন রোগীর খোঁজ মিলেছে, তারমধ্যে ১১৭ জন মহিলা। শতাংশের নিরিখে যা ৩১.৬২। ১৪ জন শিশু। শতাংশের নিরিখে যা ৩.৭৮। শরীর বিকৃতি কারও হয়নি। তবে ৬ জনের নানা ধরনের শারীরিক অক্ষমতা রয়েছে। শতাংশের নিরিখে যা ১.৬২। কুষ্ঠ নির্মূল হওয়ার কথা। সেখানে এখনও নতুন করে রোগীর খোঁজ মেলায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলার কয়েকটি ব্লকে এবং একাধিক শহরে তুলনায় কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা বেশি।জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গীর মতে, ‘‘শনাক্তকরণে এখন বেশি শিবির হয়। তাই নতুন রোগীর খোঁজ মিলছে।’’ তাঁর দাবি, খোঁজ মিললে রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অস্ত্রোপচার হয়। প্রয়োজনীয় প্লাস্টিক সার্জারির ব্যবস্থাও করা হয়।
একাধিক মহলের অবশ্য মত, জেলায় যে হারে নতুন কুষ্ঠ রোগী মিলছে এবং যে ভাবে দেহে বিকৃতিযুক্ত লোকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে অবিলম্বে কুষ্ঠ সমীক্ষার কাজ শুরু না করলে বিপদ বাড়তে পারে। কারণ, চিকিৎসায় দেরি হলে মানুষ পঙ্গু হয়ে যান। তখন পুনর্বাসনও দুষ্কর হয়।
জানা গিয়েছে, জেলার ৮টি ব্লক এবং ২টি শহরে তুলনায় বেশি সংখ্যক নতুন কুষ্ঠ রোগীর খোঁজ মিলেছে। ব্লকগুলি হল— মেদিনীপুর (সদর), গড়বেতা-২, গড়বেতা-৩, শালবনি, নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, খড়্গপুর-১ এবং খড়্গপুর- ২। এ ছাড়া, মেদিনীপুর এবং খড়্গপুর শহরেও নতুন রোগীর খোঁজ মিলেছে। সেপ্টেম্বরে নানা শিবিরে সবমিলিয়ে ৩,৩১৯ জনকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছিল। পরে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে ১৫৩ জন কুষ্ঠ আক্রান্ত। মেদিনীপুর শহরে যেমন ২৯৯ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে ৫ জন কুষ্ঠ আক্রান্ত ও খড়্গপুর শহরে ৮৭ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে ১০ জন কুষ্ঠ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।