ফাইল চিত্র
কিছুটা হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। রবিবার রাত পৌনে একটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম থানায় হাজির হয়ে এক ব্যক্তি দাবি করলেন, বচসার জেরে নিজের মেসোমশাইকে ভোজালি মেরে খুন করেছেন তিনি।
নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজকুমার হাজরা নামে বছর সাঁইত্রিশের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার রাজকুমারকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে তিনদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
রাজকুমারের বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের নৃপেনপল্লি এলাকায়। ওই এলাকাতেই থাকতেন তাঁর মেসোমশাই চিন্ময় পাত্র (৫২)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, টাকা পয়সা সংক্রান্ত গোলমালের জেরে মেসোকে খুন করেছেন রাজকুমার। তবে খুনের অন্য কোনও কারণ আছে কি-না সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রবিবার চিন্ময়ের বাড়িতে রাতের খাওয়ার নিমন্ত্রণ ছিল রাজকুমারের। তিনি জমি কেনাবেচার দালালি করেন। চিন্ময় পেশায় ছিলেন গাড়ি-চালক। রাতে চিন্ময়ের বাড়িতেই চিন্ময়ের সঙ্গে রাজকুমারের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। রাগের মাথায় তিনি ভোজালি ঢুকিয়ে দেন চিন্ময়ের পেটে। ধস্তাধস্তির সময়ে রাজকুমার বাঁ-হাতের আঙুলে আঘাত পান। চিন্ময়কে পরিজনেরা ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
চিন্ময়ের বিবাহিতা মেয়ে মৌমিতা সিংহের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৌমিতা পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, টাকা পয়সা সংক্রান্ত পুরনো বিবাদের জেরে রাজকুমার তাঁর বাবাকে খুন করেছেন। খুনের কারণ কি শুধু এটাই, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজকুমার চিন্ময়ের বাড়িতে খেতে যেতেন। বকেয়া টাকার জন্য রাজকুমার মেসোকে খুন করবেন, এটা বিশ্বাস করছেন না এলাকাবাসী। চিন্ময়ের মেয়ে মৌমিতা বলছেন, ‘‘কোথা থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।’’ সূত্রের খবর, রাজকুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে চায়নি চিন্ময়ের পরিবার। অবশ্য অভিযোগপত্র জমা দেন মৌমিতা।