—প্রতীকী চিত্র।
রাস্তার পাশে পড়ে থাকা কৌটো বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল শ্রমিকের হাত। বোমার স্প্লিন্টার লেগে গুরুতর জখম হয়েছে তাঁর একটি চোখও। রবিবার বেলার দিকে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তনা গ্রামে। গুরুতর আহত হওয়া ওই শ্রমিকের নাম শেখ রাইজুদ্দিন। ৫৫ বছর বয়সি ওই প্রৌঢ়কে তড়িঘড়ি এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় এগরা থানার পুলিশ। কোথা থেকে ওই কৌটো বোমা এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে রাইজুদ্দিন রাস্তার পাশে বাঁশের বেড়া দিচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তায় পড়ে থাকা একটি টিনের কৌটোয় হাত পড়ে যায় তাঁর। সেটিকে হাতে তুলে সরিয়ে দিতে যেতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। শব্দ পেয়ে চারদিক থেকে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা এসে দেখেন রাইজুদ্দিনের ডান হাতের কব্জি উড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বাম চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে তাঁর।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কাতারে কাতারে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে এর প্রতিবাদ জানান। জখম রাইজুদ্দিনের প্রতিবেশী শেখ আজহার জানান, “আচমকা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েই আমরা ছুটে আসি। এসেই দেখি, রাইজুদ্দিন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে। তবে কী ভাবে এই বিস্ফোরণ বা কোথা থেকে এই বোমা এসেছে তা আমরা বুঝতে পারিনি।’’ তিনি আরও জানান, রাইজুদ্দিন খেটে খাওয়া মানুষ। তাঁর এমন কোনও শত্রু নেই যে আক্রমণ করতে পারে। কিন্তু তাঁর বাড়ির কাছে এ ভাবে কে বোমা রেখে গেল তা নিয়েই ধোঁয়াশা ছড়াচ্ছে। স্থানীয় বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিদ্ধেশ্বর বেরা বলেন, “ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ির সামনে বেড়া দেওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। বিস্ফোরণে তাঁর একটি হাত উড়ে গিয়েছে। ওই এলাকায় আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। তাই কোথা থেকে ওই কৌটোয় বোমা এল তা স্পষ্ট নয়।” তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি কী ভাবে ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে বলা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।